প্রসেনজিৎ চৌধুরী: ইন্দিরা গান্ধী জীবিত থাকতে যে পারিবারিক চিড় ধরেছিল, সেই ঘরোয়া আয়না ভেঙেছে। জোড়াতালি দিতে কিছুটা চেষ্টা হয়েছিল প্রিয়াঙ্কার (priyanka gandhi) বিবাহ অনুষ্ঠানে। মিষ্টিমু়খ করেন সবাই। কিন্তু ওইটুকুই। গান্ধী পরিবার কংগ্রেস ও বিজেপিতে ভাগাভাগি হয়ে থেকে গিয়েছে। কংগ্রেস পক্ষ সোনিয়া-রাজীব প্রজন্ম রাহুল (Rahul gandhi) আর প্রিয়াঙ্কা। আর বিজেপি পক্ষ মানেকা গান্ধী ও পুত্র বরুণ।
স্বামী সঞ্জয় গান্ধীর মৃত্যুর পর থেকেই নীরব মানেকা বরাবর শাশুড়ি ইন্দিরার প্রতিপক্ষ। সেই সুযোগে বিজেপির জাতীয়স্তরের নেত্রী, মন্ত্রী। পুত্র বরুণ একইভাবে মাতৃভক্ত। তিনিও বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য ও সাংসদ।
সদ্য উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরিতে (Lakhimpur Kheri) কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনায় দেশ উত্তাল। মোট ৯ জন মৃত। এদের ৪ জন কৃষক। কেন্দ্রের মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে জমায়েতে এই ঘটনা ঘটে। কৃষকদের উপর এমন নৃশংস হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া দিচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধী। পরপর টুইট করে বিজেপি নেতা, সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। বরুণের সঙ্গে সুর মেলান মা মানেকা।
হেভিওয়েট মানেকা-বরুণের টুইটে আরও বিব্রত হয় উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার। একইভাবে কেন্দ্রের মোদী সরকারও বিব্রত হচ্ছে। এই অবস্থায় বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্যপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে মানেকা গান্ধী ও বরুণ গান্ধীকে। তবে সাংসদ ও দলীয় সদস্য পদ এখনও আছে দুজনেরই।
গত কয়েকদিন ঘরেই লখনউ ও নয়াদিল্লির রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত হতে পারেন মানেকা গান্ধী। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিলে বরুণও দলত্যাগ করবেন। এই গুঞ্জনের রেশ আরও জমাট হয়েছে দুজনকেই বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির পদ থেকে বহিষ্কার করায়।
মনে করা হচ্ছে উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের আগেস কংগ্রেসের মঞ্চে দেখা যেতে পারে রাহুল-বরুণ-প্রিয়াঙ্কাকে। এখন গান্ধী পরিবারের দুই অভিভাবক সোনিয়া ও মানেকা। তাঁরা কী করবেন? কাটবে সেই গুমসুমি ভাব। যার সৃষ্টি রাজীব ও সঞ্জয়কে ঘিরে খোদ ইন্দিরা তৈরি করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর।