Special Correspondent, Kolkata: লজ্জার হার টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে ভারতের বিদায় ঘণ্টা প্রায় বাজিয়েই দিয়েছে। লজ্জাজনক হারের দায় যেমন বিরাট কোহলিকে নিতে হবে প্রশ্ন উঠছে এই হারের দায় কোনওভাবে এড়াতে পারে টিম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)?
যে লবি সিস্টেম ভেঙে দিয়েছিলেন সৌরভ তা প্রকট হয়ে ফিরে এসেছে ২০২১ সালে। এই সমস্যা মাথাচারা দিচ্ছিল ২০১৯ সালের অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে। ৫০ওভারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল শেষ হতেই বিরাট আর রোহিত দুটো আলাদা ক্যাম্প তৈরি হয়ে গেল দলে। ঘটনার জন্য বিরাট দায়ী, কারন তিনি কোনও প্লেয়ারকে সেট হতে দেননি। স্পিন জুটি থেকে শুরু করে টিম সেটিং হর রোজ নতুন নতুন খেলছে। কেই একবার খারাপ খেললেই দল থেকে বাদ। আবার নতুন।প্লেয়ার নিয়ে পরীক্ষা শুরু। ভেঙেছেন অশ্বিন-জাদেজা জুটি। নিজে তৈরি করেই নষ্ট করেছেন কুল-চা জুটি। চার নম্বরে ব্যাটে কাউকে থিতু হতে দেননি। রোহিত সেই জায়গাটা পেতেই নড়েচড়ে বসলেন সঙ্গে নিজের পারফরম্যান্সও ভালো। আর দেখে কে?
বিশেষজ্ঞরা সোজাসুজি প্রশ্ন তুলেছেন ঈশান কিষান , সূর্য কুমার যাদব কীভাবে বিশ্বকাপ দলে ঢুকে পড়লেন? যে জায়গাটা শ্রেয়শ আয়াররা খেটে খেটে তৈরি করেছেন সে জায়গায় হঠাৎ করেই সূর্য কুমার যাদব? অভিজ্ঞতার দাম দেওয়া হল না।ইয়ো ইয়ো টেস্ট করে বলা হয় যে কোনও প্লেয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য ফিট কি না সেখানে হার্দিকের মতো আনফিট প্লেয়ার দিব্যি খেলছেন। করছেন লোক দেখানি বোলিং। সৌজন্যে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাম্প। রোহিত ক্যাম্প , তাই রাহুল চাহার দলে আসে অথচ যুজবেন্দ্র চাহল সেরা টি-২০ বোলার হয়েও বিশ্বকাপ দলের বাইরে। শিখর ধাওয়ান , টুর্নামেন্টের আগের সিরিজে , শ্রীলঙ্কায় অধিনায়ক । ফর্মে থেকেও টুর্নামেন্টে দলের বাইরে। পাশাপাশি তিনি কেরিয়ারের সমস্ত আইসিসি ইভেন্টে ব্যাপকভাবে সফল। কেন বাদ গেলেন? বিরাটের উপর ক্ষুব্ধ বোর্ড।
লবি আস্তে আস্তে তৈরি হচ্ছিল। বিশ্বকাপে যাচ্ছেতাই দল নির্বাচন করে সেই সম্ভাবনাকে দুয়ার খুলে আহ্বান জানালেন টিম সৌরভ। যখন তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন এমন লবির জায়গা তৈরি হচ্ছে কেন সেটাকে ভাঙলেন না ? উল্টে সমস্যার গোড়ায় ধুনো দিয়ে গেলেন। সমস্যায় জর্জরিত অধিনায়ক হঠাৎ বড় টুর্নামেন্টের আগে টি-২০ অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেন। কোচ? তাঁর উপরে স্পেশাল পুরনো রাগ রয়েছে সৌরভের। ভালো খেলেও আইসিসি ইভেন্টের কাপ আনতে না পেরে সে সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে রবি শাস্ত্রীর জন্য। চাপ তৈরি হল এবং আবারও বড় টুর্নামেন্টের আগে কোচও বলে দিলেন তিনি আর থাকতে চান না। টিমের উপর প্রভাব প্রকট হয়েছে।
অশ্বিন, তাঁকে তো বিরাট খেলাবেন না। তাও আরবের স্লো উইকেটে। খেলবেন উড়ে এসে জুড়ে বসা বরুণ চক্রবর্তী। অশ্বিন তো টি-২০ বিশ্বকাপের দলে আসার জায়গাতেই ছিলেন না। ঢুকলেন রোহিত এবং বোর্ড ক্যাম্প দিয়ে। টিমে তো এলেন কিন্ত অধিনায়ক তো বিরাট, কে জানে বিশ্বের সেরা স্পিনারের সঙ্গে তাঁর কীসের ইগোর লড়াই! যে কোনও মূল্যেই তিনি খেলবেনই না।
এসব প্রশ্ন দল ঘোষণার দিন থেকেই উঠছিল। ফলাফলে তা প্রকট হয়েছে। ঠিক যেন ২০০৭ এর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের সঙ্গে যেন বেশ কিছু ক্ষেত্রে মিলে যাচ্ছে এই দলের পরিবেশ পরিস্থিতি। ভুলভাল ব্যাটিং অর্ডার। রোহিত তিনে ঈশান কিষান-রাহুল ওপেন আর চারে বিরাট। পুরো ঘেঁটে ঘ। একই কান্ড হয়েছিল সেবারেও। সেওয়াগ শচীন নন বা সৌরভ সেওয়াগ নন। ওপেন করলেন উথাপ্পা সৌরভ। তিনে নাকি সেওয়াগ। চারে সচিন, পাঁচে অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়, ছয়ে ক্যাপটেন যুবরাজ সিং। টিম ঘেঁটে লাট। বোলিং ইরফান সেই সময়ের সেরা বোলার এবং চ্যাপেল ধন্য হয়েও দলে ছিলেন না। সেবারে চ্যাপেল মোড়ে কীর্তি আর এখন আবার কোহলি এবং টিম সৌরভের জেদাজেদি। ফল ভারতের লজ্জাজনক পারফরম্যান্স। এই লবি না ভাঙলে সময় আরও নিঃসন্দেহে দুরূহ আসতে চলেছে তা বলা যেতেই পারে।
<
p style=”text-align: justify;”>রেমিডি? টিম সৌরভ সাহস নিয়ে করে দিন না পন্থ কে ছোট ফরম্যাটের অধিনায়ক। আপনি তো সাহসী। লবি না বাড়িয়ে একটু ভালো কিছু ভেবে দেখুন না।