নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: পুজোর সেরা জুটির খেতাব এবার প্রায় নিজেদের মুঠোয় এনে ফেলেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোয় এই দুইজন টালা থেকে টালিগঞ্জ সর্বত্রই মনের আনন্দে ঠাকুর দেখে বেড়াচ্ছেন। তবে শুধু ঠাকুর দেখাই নয়, কখনো তাঁরা ঝড় তুলছেন পিয়ানোয়। কখনওবা রবীন্দ্র সংগীতের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নাচছেন। আবার কখনওবা চড়ছেন ঘোড়ার গাড়িতে।
মহা সপ্তমীর রাতে শোভন-বৈশাখী হাজির হয়েছিলেন শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের মণ্ডপে । দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর এই পুজোয় মণ্ডপ তৈরি হয়েছে দুবাইয়ের সবচেয়ে বড় হোটেল বুর্জ খালিফার আদলে। মন্ডপের উচ্চতার সঙ্গে আলোর ঝলকানির কারণে কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান অবতরণ সমস্যার মুখে পড়ে। তাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই মন্ডপের উচ্চতা ও আলোকসজ্জা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আপত্তিতে সপ্তমীর রাতে বুর্জ খালিফার সমস্ত আলো নিভিয়ে দেয়। হয় বন্ধ করে দেওয়া হয় দর্শনার্থীদের প্যান্ডেল দর্শন।
কিন্তু মণ্ডপের আলো নিভে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মণ্ডপ আলোকিত করে হাজির হন শোভন ও বৈশাখী। দুজনের পরনেই ছিল লাল ঝলমলে পোশাক। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর পুজো দেখে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত শোভন-বৈশাখী।
দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা মন্ডপের কারুকাজ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন। শোভন বলেছেন, দুবাইয়ের সবচেয়ে উঁচু হোটেলের আকর্ষণ কলকাতাতেই হাজির করেছেন সুজিত। সারা পৃথিবীর দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে বুর্জখালিফা অন্যতম। সব মানুষের তো আর সম্ভব নয় দুবাই যাওয়া। কিন্তু সুজিত কলকাতায় বুর্জ খালিফা তৈরিরে দেখিয়ে দিয়েছেন। সুজিতের এই ভাবনাচিন্তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
মণ্ডপ দেখে কি বললেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী! এই প্রাক্তন অধ্যাপিকা বলে,, যেমন সুন্দর মণ্ডপ তেমনই প্রতিমা। মন ভরে গিয়েছে। এরকম প্রতিমা মণ্ডপ দেখতে একবার কেন বারবার আসা যায়। তবে শুধু মন্তব্য করাই নয়, মণ্ডপে মাইকে বাজা ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’ গানের সঙ্গে এক বেশ কয়েকটি কলিও গেয়ে ফেললেন বৈশাখী- শোভন। এভাবেই সপ্তমীর রাতে কলকাতায় ঘুরে ঘুরে পুজো দেখলেন শোভন-বৈশাখী।
অন্যদিকে সুজিত বসুর অনুগামীরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের আপত্তিতে নয় ভিড় এড়ানোর কারণেই তাঁরা বুর্জ খালিফার আলো নিভিয়ে দিয়েছিলেন। করানোর সময় অতিরিক্ত ভিড় তাঁরা কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না। কিন্তু আলো নেভাতে সেই কাজ তাঁদের কিছুটা সহজ হয়েছে।
বুধবার মহাষ্টমীর দিনেও কলকাতায় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখবেন বলে জানিয়েছেন শোভন-বৈশাখী জুটি। তবে তাঁরা কোন কোন মণ্ডপে যাবেন সে বিষয়ে একটি কথাও বলেননি। শোভন মুচকি হেসে বলেছেন দেখুন না আমরা কোথায় যাই!