বায়োস্কেপ ডেস্ক: সদ্যই পশ্চিমবঙ্গ সামলে উঠেছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই পুজোয় আর আগের মতন করে ঘোরা-ফেরা হয়তো হবেনা। কিন্তু পুজোয় সিনেমা না হলে চলে? আর সিনেমা দেখব, প্রেক্ষাগৃহে না গিয়ে, তাও আবার এক রাজা মন্ত্রীর কাহিনী তা কি করে হয়? আর এখন তো সিনেমাহল খুলে গিয়েছে। কোভিড দূরত্ব বিধি মেনে আবারও নতুন করে ভরে উঠছে সিনেমাহল গুলি। তাই নতুন উদ্যমে নতুন স্বপ্ন নিয়ে বুক বেধেছেন বাংলা চলচ্চিত্র জগৎ এর প্রযোজক-পরিচালকরা।
দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষার অবসান হবে এই পুজোয়। কারণ গত এপ্রিল মাসে প্রযোজক অভিনেতা সাংসদ দেব জানিয়েছিলেন, কেন মে মাসে হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী মুক্তি পাবে না। বোম্বাগড়ের পক্ষ থেকে বিশেষ ঘোষণা করে দেব জানিয়েছিলেন বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি কেটে গেলে তার পরেই তিনি দর্শকদের নিয়ে যাবেন রূপকথার দেশে। কথার খেলাপ করা দেবের ডিকশনারিতে নেই। এমনকি টলিউডের সোনু সুদ বলেও তাকে আখ্যা দিয়েছে তার ভক্তকুল।
মানব-দরদি এই নেতা এবং অভিনেতা এই পুজোতে দর্শকদের নিয়ে যাবেন বোম্বাগড়ে। সেখানে দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করে আছে বোম্বাগড়ের রাজা, রানী, মন্ত্রী, সৈন্যদল, রাজসভা রাজকোষ। সব মিলিয়ে এক দারুণ রাজ্য। রাজার ছত্রছায়ায় সবাই খুব খুশি। হবুচন্দ্র রাজার চরিত্রে অভিনয় করছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়,রানী অর্থাৎ কুসুমকুমারীর চরিত্রে অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় গবুচন্দ্র মন্ত্রীর চরিত্রে খরাজ মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের কাহিনী অবলম্বনে, অনিকেত চট্টোপাধ্যায় এর পরিচালনায় এবং কবীর সুমনের সঙ্গীত পরিচালনায় এবারে শরতে বোম্বাগড় ভ্রমণে আপনার হাতে থাক পপকর্ণ আর মনে থাক খুশির রং।