নিউজ ডেস্ক, কোচি: মিস কেরালা ২০১৯ এবং দক্ষিণ ভারত ২০২১ এর বিজয়ী আনসি কবীর এবং মিস কেরালা ২০১৯-এর রানার আপ অঞ্জনা শাহজাহানের মৃত্যুর পিছনে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলেও, হত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে হোটেলের ভিডিও ফুটেজ উধাও হওয়ায়, একে দুর্ঘটনার চেয়ে হত্যা হিসেবেই বেশি দেখা হচ্ছে।
গত ১ নভেম্বর কোচি থেকে গাড়িতে করে ফিরছিলেন আনসি কবির ও অঞ্জনা শাহজাহান। এ সময় জাতীয় সড়কে বাইক আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে তার গাড়ি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। দুর্ঘটনা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। মডেলদের সঙ্গে গাড়িতে দুজন লোকও উপস্থিত ছিল, যাদের একজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি দুর্ঘটনা বলে ধারণা করা হলেও, তদন্ত যত এগিয়েছে ততই এমন অনেক বিষয় সামনে এসেছে, যা মডেলদের হত্যার সন্দেহকে আরও গভীর করেছে।
দুজন মডেলই কোচির হোটেল ’18 হোটেল’-এ একটি ডিজে পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন। এখান থেকে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ হোটেল কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে দেখা যায়, সেদিনের ফুটেজ নেই। কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে কর্মীরা জানিয়েছেন, হোটেলের মালিক রয় ভায়োলেটের ফুটেজ সম্বলিত ডিভিডি নিয়ে গিয়েছে। এর পর পুলিশ রায়কে ডিভিডি উপস্থাপন না হলে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছিল। হোটেল মালিক মঙ্গলবার হারিয়ে যাওয়া ডিভিডিটি পুলিশকে ফেরত দিলেও আরেকটি ডিভিডি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও সামনে এসেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হোটেল মালিকসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। রয় ভায়োলেট বর্তমানে প্রমাণ নষ্ট করার অভিযোগে অভিযুক্ত। তবে সিসিটিভি ফুটেজে কী ছিল যে হোটেল মালিককে তাকে নিখোঁজ করতে হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ বলছে, ওই মডেলের গাড়িটি অন্য গাড়ির সঙ্গে রেস করছিল। দুটি গাড়ির গতি ছিল খুব বেশি। এমতাবস্থায় বাইক আরোহী আচমকা হাজির হলে চালকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। সংঘর্ষ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে গাড়িটি বিস্ফোরিত হয়।
<
p style=”text-align: justify;”>আনসি কবির এবং অঞ্জনা শাহজাহানের গাড়ির সঙ্গে আরেকটি কার রেসিং ছিল হোটেল মালিক রায় ভায়োলেটের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী সিজু। প্রথম থেকেই হোটেল মালিককে সন্দেহ করে আসছিলেন আনসি কবিরের পরিবারের সদস্যরা। তিনি বলেন, বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করা উচিত, তবেই সত্য বেরিয়ে আসবে। রয় ভায়োলেটের সিসিটিভি ফুটেজ উধাও হওয়ার পর এ মামলায় তার জড়িত থাকার সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ এখনই কিছু জানায়নি।