নিউজ ডেস্ক: বরাবরই সিপিআইএম-এর একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত অভিনেতা রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। দলের হাজারো প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও দলের পাশে থেকেছেন তাঁরা। এমনকি ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিআইএম প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করতেও দেখা যায় শ্রীলেখাকে। অন্যদিকে যেকোনো আলোচনা অনুষ্ঠান হোক কিংবা জনসমক্ষের আলোচনা, নিজেকে বাম সমর্থক হিসেবে দাবি করেন রাহুল। বরাবরই তাঁকে দেখা যায় বামেদের হয়ে কথা বলতে। তবে এবারে এহেন বাম সমর্থকরা দল ছাড়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে জানিয়ে দিলেন।
সম্প্রতি ৫০০ দিন পূর্ণ করলো সিপিএম-এর শ্রমজীবী ক্যান্টিন। বহু প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও একবারের জন্যও বন্ধ হয়নি ক্যান্টিন। এই সুবাদে সোমবার যাদবপুরে একটি বড় অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয় দলের পক্ষ থেকে। মিছিল, কেক কাটা, নাচ এবং গানে অনুষ্ঠান জমজমাট ছিল। তবে ছন্দপতন ঘটলো যখন সেই অনুষ্ঠানে দেখা পাওয়া গেলো সদ্য বিজেপি ছেড়ে বেড়িয়ে আসা অভিনেতা আনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী রুপা ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয় সিপিআইএম নেতা শতরূপ ঘোষের সঙ্গে নেটমাধ্যমে তাঁদের ছবি পোস্ট হওয়া মাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রীলেখা এবং রাহুল।
ফেসবুকে শ্রীলেখা জানান, আমায় প্রলোভন দেওয়া হয়েছিলো। অন্যদলের থেকে বিধানসভার টিকিটও প্রস্তাব করা হয়েছিলো। গ্রহণ করলে হয়তো জীবনটা আলাদা হতো। তবে তা তিনি করেননি। অভিনেত্রীর মতে তিনি একজন বাম মতাদর্শী। যারা প্রকিত বামপন্থী হন তাঁরা কখনোই সময়ে সময়ে দল পরিবর্তন করেন না। এমনকি শ্রীলেখা জানান, ‘আমি বহু অপমান আর কষ্টের জায়গা থেকে বলছি, আমি সিপিআইএম-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করব। এরাই আমাকে গালমন্দ করেছিলেন একদিন। তাঁদের সঙ্গে একই মঞ্চ ভাগ করা কোনোমতেই সম্ভব নয়’। অন্যদিকে রাহুলও টুইট করে নিজের ক্ষোভ উগ্রে দেন। তিনি জানান, সিপিআইএম-এর মঞ্চে যদি টিকিট না পাওয়া হতাশ বিজেপি জায়গা পায়, তবে আমি দলের সঙ্গে সব সম্পর্ক এই মুহূর্তে ছিন্ন করলাম।