মোদীর ছোটদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈজ্ঞানিক বললেন এইমসের মহামারী বিশেষজ্ঞ

প্রতিবেদন, ২৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ৩ জানুয়ারী থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ…

AIMS epidemiologist calls Modi's decision to vaccinate children unscientific

প্রতিবেদন, ২৫ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করেছিলেন, ৩ জানুয়ারী থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ (vaccination) শুরু হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করলেন এইমসের মহামারী বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় কে রাই (sanjay k rai)। এই বিশেষজ্ঞ স্পষ্ট জানালেন, শিশুদের টিকা দিয়ে আদৌ কোনো লাভ হবে না।

বড়দিনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে (speech to the nation) প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বেশিরভাগ রাজ্যেই স্কুল-কলেজ খুলে গিয়েছে। তাই ছোটদের টিকা দেওয়া দরকার। কারণ টিকা দেওয়া হলে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে। একই সঙ্গে দেশের যে সমস্ত প্রবীণ মানুষ কোমর্বিডিটির সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

কিন্তু শিশুদের টিকা দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে সরাসরি অবৈজ্ঞানিক বলে জানিয়ে দিলেন এইমসের এই বিশিষ্ট চিকিৎসক। রবিবার মহামারী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রাই বলেন, ছোটদের টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করার আগে সরকারের উচিত ছিল অন্য দেশগুলির দিকে দেখা। এই মুহূর্তে বেশ কিছু দেশে ১৮ বছরের কম বয়সীদের টিকা দেওয়া চলছে। ওই সব দেশের পরিস্থিতি কী তা আগে পর্যালোচনা করা উচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন বিষয়ে যথা সময়ে ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়ে থাকেন। কিন্তু ছোটদের ভ্যাকসিন দেওয়ার এই সিদ্ধান্তটি একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে আমি যথেষ্ট ব্যথিত। ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন চিকিৎসক রাই। নিজের ট্যুইটে পিএমওকে ট্যাগ করেছেন তিনি।

প্রশ্ন হল কী কারণে এই মহামারী বিশেষজ্ঞ ছোটদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈজ্ঞানিক বলছেন। এ বিষয়ে রাই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাস্তব অভিজ্ঞতা বলছে, টিকা নেওয়ার পরেও সংক্রমণ আটকানো যাচ্ছে না। টিকা নিয়েছেন এমন বহু মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্রিটেনে রোজ ৫০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ অভিজ্ঞতা বলছে, ভ্যাকসিন নিলে সংক্রমণ ঠেকানো যায় না, তবে মৃত্যু প্রতিরোধ করা যায় অনেকটাই। তাই বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে এত তাড়াহুড়োর কিছু ছিল না। বরং উচিত ছিল আগে বড়দের প্রত্যেকের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করা। প্রয়োজনে বুস্টার ডোজ দেওয়া। তাতে মৃত্যুর হার অনেকটাি কমবে। বাচ্চারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু বাচ্চাদের এই রোগ বিশেষ কাবু করতে পারছে না। তাই কেন্দ্রের উচিত ছিল, আগে দেশের প্রতিটি মানুষকে টিকা দেওয়া। প্রয়োজনে প্রবীণদের বুস্টার ডোজ দেওয়া। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারছি না।