UP assembly elections: বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন অখিলেশ

News Desk, New Delhi: হাতে গোনা আর কয়েক মাস পরেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সেই নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মহলকে অবাক করে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল সমাজবাদী…

akhilesh yadab

News Desk, New Delhi: হাতে গোনা আর কয়েক মাস পরেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সেই নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক মহলকে অবাক করে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব জানালেন, তিনি এবার কোন বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়বেন না। তবে কি কারণে অখিলেশ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন সে বিষয়ে তিনি কোনও কিছুই জানাননি।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপির বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালাতে চান সপা প্রধান। তাই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কোন একটি কেন্দ্রে আটকে থাকতে রাজি নন। তিনি যদি নিজে কোন কেন্দ্রে প্রার্থী হন তাহলে সেই কেন্দ্রে তাঁকে সময় দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি গোটা রাজ্য জুড়ে প্রচার চালানোর জন্য যথেষ্ট সময় পাবেন না। যা দলের নির্বাচনী প্রচারে প্রভাব ফেলতে পারে সে কারণেই অখিলেশ আগে থাকতেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার কথা জানালেন।

যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশ এবং সপার সর্মথকরা মনে করছেন, অখিলেশ এই সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। কারণ দলপতি যদি লড়াইয়ের ময়দানে না থাকেন তাহলে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। বিজেপি এই সুযোগটা নেবে। গেরুয়া দল প্রচার করবে, পরাজয়ের ভয়েই অখিলেশ এবার ভোটে লড়ছেন না। অন্যদের লড়াইয়ের ময়দানে ঠেলে দিয়ে তিনি নিজে সরে দাঁড়িয়েছেন। সেটা নিশ্চিত ভাবেই সবার ক্ষেত্রে এক বিড়ম্বনা।

এরই মধ্যে রাজ্যের অন্যতম রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টিকে নিয়ে কংগ্রেস ও সপার মধ্যে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। রবিবার লখনউ বিমানবন্দরে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী। অনেকেই মনে করছেন, আসন্ন নির্বাচনে আরএলডির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হতে পারে। জয়ন্ত-প্রিয়াঙ্কার ওই বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসতেই সপা প্রধান অখিলেশ সোোমবার বলেন, আরএলডির সঙ্গে তাঁদের জোট চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। এমনকি আরএলডি কোন কোন আসনে লড়বে সে ব্যাপারেও কথা অনেকটা এগিয়েছে ।

প্রশ্ন হল, এই মুহূর্তে আরএলডিকে নিয়ে কংগ্রেস ও সপার মধ্যে দড়ি টানাটানির কারণ কী। রাজনৈনিত মহল মনে করছে, উত্তরপ্রদেশের অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ টি আসনে আরএলডির ভালরকম প্রভাব রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকাতেও আরএলডির প্রভাব রয়েছে। সেই প্রভাব কাজে লাগিয়ে মানুষের ভোট নিজেদের অনুকূলে টানতে উদ্যোগী হয়েছে কংগ্রেস ও সপা। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত আরএলডি কার সঙ্গে যায়।