Biplab Deb birthday: গণতন্ত্রের নামে প্রহসন-ভোট লুঠ করে জন্মদিন সেলিব্রেট-অভিযোগ বিরোধীদের

Biplab Deb celebrates birthday নিউজ ডেস্ক, আগরতলা: মানুষ নিজের জন্মদিন সেলিব্রেট করতে কত কিছুই না করে। কিন্তু ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb) কিভাবে জন্মদিন…

Biplab Deb

Biplab Deb celebrates birthday
নিউজ ডেস্ক, আগরতলা: মানুষ নিজের জন্মদিন সেলিব্রেট করতে কত কিছুই না করে। কিন্তু ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব (Biplab Deb) কিভাবে জন্মদিন (Birthday) সেলিব্রেট করেছে জানেন! তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamul congress) ও সিপিএমের (CPM) অভিযোগ, ত্রিপুরায় পুরভোটে গণতন্ত্র (Democracy ) লুঠ করে নিজের জন্মদিন সেলেব্রেশন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।

এদিন ত্রিপুরা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক জীতেন চৌধুরী বলেন, পুর ভোটের নামে প্রহসন হল ত্রিপুরায়। এর আগে এ রাজ্যের মানুষ কখনও এত নির্লজ্জ সরকার দেখেনি। ত্রিপুরার বিজেপি সরকার আইন-আদালত কিছুই মানে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশকেও বুড়ো আঙুল দেখায়। ভোটের নামে কার্যত লুঠপাট চালিয়েছে বিপ্লব দেব সরকার। তাঁদের এই অভিযোগ যে ভিত্তিহীন নয় তার প্রমাণ হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাই তুলে ধরেন জিতেন চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোট চলাকালীন কোন রাজ্যে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ এই প্রথম।

রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান নারায়ণ কর বলেন, ভোটের নামে বিজেপির দুষ্কৃতী বাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কী প্রয়োজন ছিল অর্থ খরচ করে এই প্রহসনের। এরচেয়ে সব আসনেই তো বিজেপি নিজেদেরকে জয়ী বলে ঘোষণা করতে পারত। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক বলেছেন, যে সমস্ত বুথে ভোট হয়েছে সেখানেই ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে বিজেপি। এই নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন করতে হবে। সুবলের দাবি, আগরতলার একাধিক ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা হয়েছে। তাঁদের এক মহিলা প্রার্থীর চোখ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল সিপিএম দাবি করেছে, এই নির্বাচন বাতিল করে দিয়ে নতুন করে ভোট গ্রহণ করতে হবে। কারণ শুধু আগরতলা নয়, এদিন কোনও বুথেই ভোট দিতে পারেনি সাধারণ মানুষ। বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মন অনেকটা বিরোধীদের সুরেই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনও এমন ভোট দেখেননি। এদিন শুধু বহিরাগতরাই দাপিয়ে বেড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এমন ভয় দেখিয়ে ভোট না করলেই ভালো করতেন। কারণ এতে বিজেপিকে মানুষের অভিশাপ কুড়োতে হচ্ছে। যা ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় বুমেরাং হতে পারে।

অন্যদিকে বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিরোধীরা নিজেদের পরাজয় বুঝতে পেরে এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। তবে আজকের নির্বাচনে মানুষ বিরোধীদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে। পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে যারা ভোট গ্রহণের কাজে যুক্ত ছিলেন তাঁদের সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়েছে বিজেপি।