২০২২ সালে বিজেপি ক্ষমতায় ফিরছে উত্তরপ্রদেশে: Times Now সমীক্ষা

News Desk: উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগর অন্ত নেই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা প্রতিদিন তোপ দেগে চলেছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। নতুন বছরের শুরুতেই…

jogi-adityanath

News Desk: উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগর অন্ত নেই। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীরা প্রতিদিন তোপ দেগে চলেছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। নতুন বছরের শুরুতেই গোবলয়ের বৃহত্তম এই রাজ্যে বিধানসভা ভোট।

২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনকে রাজনৈতিক মহল সেমিফাইনাল ম্যাচ বলে উল্লেখ করেছে। সেই ম্যাচে শেষ পর্যন্ত যোগীই শেষ হাসি হাসবেন বলে জানা গেল জনমত সমীক্ষায়।

লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের পিষে মারার ঘটনা, করোনায় মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সবকিছুকেই যেন ছাপিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) উন্নয়নের পথ। প্রধানমন্ত্রীর ফেরি করা উন্নয়নের সেই পথ ধরেই দ্বিতীয়বার লখনউয়ের কুর্সিতে ফিরতে চলেছেন যোগী আদিত্যনাথ এবং তাঁর দল বিজেপি (BJP)। সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল টাইমস নাও এবং তার সহযোগী পোলস্টাটের জনমত সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ২০২২ উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বিধানসভা ভোটে ৪০৩টি আসনের মধ্যে গেরুয়া দল এখনও পর্যন্ত ২৩৯ থেকে ২৪৫টি আসনে এগিয়ে আছে। তবে ২০১৭ সালের তুলনায় এবার তাদের আসন প্রাপ্তি অনেকটাই কমছে।

BJP

পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে ৩১২টি আসন জিতে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। ১৪ বছর পর লখনউয়ের দখল ফিরে পেয়েছিল গেরুয়া দল। সেবার বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উন্নয়ন এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষ হিসাবে পরিচিত যোগী আদিত্যনাথের (yogi adityanath) মুখকেই ব্যবহার করে নজরকাড়া সাফল্য পেয়েছিল। পাঁচ বছর পর গেরুয়া দল এবারও এই দুই মুখকেই নিজেদের বড় ভরসা বলে মনে করছে। দুদিন আগে লখনউয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও (amit shah) যার ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

বারাণসীতে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁর ‘মাস্টার ক্লাসে’ শাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশ জিতেই ২০২৪ সালে দিল্লির পথ তাঁরা মসৃণ করতে চান। মোদি-শাহর ভাবনায় যে খুব একটা অসঙ্গতি নেই তার প্রতিফলন মিলল এই জনমত সমীক্ষায়। জনমত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অজয় সিং বিস্ত ওরফে যোগী আদিত্যনাথের উপরেই ভরসা করছেন। সেই ভরসার কারণেই বিজেপি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৪৫টি আসনে এগিয়ে আছে। প্রধান বিরোধী হিসাবে ১১৯ থেকে ১২৫টি ‘আসনে এগিয়ে অখিলেশ যাদবের (akhilesh) সমাজবাদী পার্টি। মায়াবতীর বিএসপির ঝুলিতে যেতে পারে ২৮ থেকে ৩২টি আসন। কংগ্রেসের অবস্থা একেবারেই করুণ। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ভাগ্য জুটতে পারে মেরেকেটে পাঁচ থেকে সাতটি আসন।

২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে কোন দল ক্ষমতায় আসতে পারে তা নিয়ে জনমত সমীক্ষা চালায় টাইমস নাও এবং তার সহযোগী পোলস্টাট। ৯ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে এই সমীক্ষা রিপার্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। এই সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে একমাত্র পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে সরকার বিরোধী হাওয়ার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। যদিও রাজ্যের সবচেয়ে বেশি ৯২টি আসন রয়েছে পূর্বাঞ্চলে। সেখানে বিজেপি এগিয়ে আছে ৪৭ থেকে ৫০ আসনে। অখিলেশের ‘জিন্নাহ’ মন্তব্যের আগে এই জনমত সমীক্ষা করা হয়েছিল। 

<

p style=”text-align: justify;”>এরই মধ্যে রবিবার রাজ্যে একলা চলার কথা ঘোষণা করেছেন কংগ্রেসনেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (priyanka gandhi)। বহুজন সমাজপার্টির নেত্রী মায়াবতী (mayabati) আগেই ঘোষণা করেছেন তাঁর দল অন্য কোনও দলের সঙ্গে জোটে যাবে না। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, বিরোধী ভোট ভাগ হওয়ার সুবিধা ঘরে তুলবে বিজেপি। তাই শেষ পর্যন্ত বিজেপির আসন আরও কিছুটা বাড়লে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলে ২০২৪ সালে মোদির দিল্লি ফেরার রাস্তাটাও অনেকটা সুগম হবে।