News Desk: মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Captain Amarinder Singh)। সকালে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়ার পর বিকেলে নিজের নতুন দলের নাম ঘোষণা করলেন ক্যাপ্টেন।
এদিন অমরিন্দর জানিয়েছেন, তাঁর নতুন দলের নাম হবে ‘পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস’। এই রাজ্যে আর কয়েক মাস পরেই বিধানসভা নির্বাচন। পাঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। আসন্ন নির্বাচনে পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে বড় মাপের সমস্যায় ফেলতে পারে ক্যাপ্টেনের নতুন দল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দিতে এদিন ক্যাপ্টেন সাত পাতার একটি চিঠি দেন সোনিয়া গান্ধীকে। ওই চিঠিতে তিনি রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। ক্যাপ্টেন লিখেছেন, সোনিয়াজি আমি আপনার ছেলে-মেয়ের আচরণে গভীর মর্মাহত। আপনার ব্যবহারেও আমি দুঃখ পেয়েছি। একজন অস্থিরমতি লোক, যিনি পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রী রাষ্ট্রকাঠামোর সহযোগী তাকে আপনারা ভরসা করলেন। তার কথা মেনে নিলেন। এরপর আর আপনাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যায় না। পাকিস্তানের ষড়যন্ত্রী রাষ্ট্রকাঠামোর সহযোগী বলতে ক্যাপ্টেন যে বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুকেই ইঙ্গিত করেছেন তা স্পষ্ট।
অমরিন্দরের কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে সিধুর বিশেষ অবদান রয়েছে। কারণ সিধু প্রথম থেকেই অমরিন্দরের ঘোরতর বিরোধী। সম্প্রতি সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন রাহুল। তারপরেই ক্যাপ্টেনের সঙ্গে সিধুর বিরোধ চরমে ওঠে। সেই বিরোধে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা সিধুর পাশে দাঁড়ান। তার ফলেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় অমরিন্দরকে। এদিনের চিঠিতে তিনি সে কথাই উল্লেখ করেছেন।
এদিন নতুন দলের নাম ঘোষণা করার পাশাপাশি অমরিন্দর বলেছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি রাজ্যের ১১৭ টি আসনেই প্রার্থী দেবেন। এখন দেখার এই নির্বাচনে অমরিন্দর কংগ্রেস বা বিজেপির মত কোনও দলের সঙ্গে জোট করে কিনা।