Defence: নজিরবিহীন কাজ করে তাক লাগাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

ফের সাড়া ফেলে দিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry Of Defence) । স্বাধীনতার পর এই ধরনের প্রথম ব্যাপক মহড়ায় সরকার ত্রিমাত্রিক মডেলিং, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট ইমেজারির…

defence Defence: নজিরবিহীন কাজ করে তাক লাগাল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক

ফের সাড়া ফেলে দিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক (Ministry Of Defence) । স্বাধীনতার পর এই ধরনের প্রথম ব্যাপক মহড়ায় সরকার ত্রিমাত্রিক মডেলিং, ড্রোন এবং স্যাটেলাইট ইমেজারির মতো সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৭.৭৮ লক্ষ একর প্রতিরক্ষা জমি জরিপ করে ফেলল। যা ভারতীয় ইতিহাসে কার্যত নজিরবিহীন। এই সার্ভে চালানো হয় রাজস্থানে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে প্রায় ১.৬১ লক্ষ একর এবং ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ১৬.১৭ লক্ষ একর প্রতিরক্ষা জমি মাপার কাজ শুরু হয়েছিল এবং এখন শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুরো প্রতিরক্ষা জমি জরিপ করা হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, স্থলধারণের মাত্রা, প্রায় ৪,৯০০ পকেটে জমির অবস্থান, অনেক জায়গায় দুর্গম ভূখণ্ড এবং এই কাজের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন স্টেক হোল্ডাররা এই ঘটনাকে বৃহত্তম সার্ভের আখ্যা দিয়েছেন। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইলেকট্রনিক টোটাল স্টেশন, ডিফারেনশিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের পাশাপাশি ড্রোন এবং স্যাটেলাইট ইমেজারির মতো আধুনিক জরিপ প্রযুক্তিগুলি “নির্ভরযোগ্য, শক্তিশালী এবং সময়-আবদ্ধ” ফলাফল নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, “এই প্রথম রাজস্থানের লক্ষ লক্ষ একর প্রতিরক্ষা জমি জরিপের জন্য ড্রোন চিত্রভিত্তিক সমীক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতের সার্ভেয়ার জেনারেলের সহায়তায় পুরো এলাকাটি জরিপ করা হয়েছিল, যা আগে বছরের পর বছর ধরে করা হত। উপগ্রহ চিত্র-ভিত্তিক জরিপ প্রথমবারের মতো অনেক প্রতিরক্ষা ভূমি পকেটের জন্য পরিচালিত হয়েছিল।”

ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের (বিএআরসি) সহযোগিতায় ডিজিটাল এলিভেশন মডেল ব্যবহার করে পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিরক্ষা জমির আরও ভাল দৃশ্যায়নের জন্য ত্রিমাত্রিক মডেলিং কৌশলও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, জরিপের অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা জমিতে জবরদখল শনাক্তকরণের জন্য ‘টাইম সিরিজ স্যাটেলাইট ইমেজারি’র উপর ভিত্তি করে রিয়েল টাইম চেঞ্জ ডিটেকশন সিস্টেমের একটি প্রকল্পও শুরু করা হয়েছে।