News Desk: শাহরুখ খান যদি বিজেপিতে যোগ দিতেন তাহলে পরিস্থিতি এমনটা হত না। এই বলিউড তারকা গেরুয়া দলে যোগ দিলে মাদক কাণ্ডে তাঁর ছেলেকে হয়তো জেলে যেতেও হত না। শাহরুখ বিজেপিতে যোগ দিলে ড্রাগ তখন চিনির গুঁড়ো হয়ে যেত। শাহরুখ বিজেপিতে যোগ না দেওয়ায় তাঁর উপর প্রতিহিংসা মেটাতেই আরিয়ানকে জেলে ভরে দেওয়া হয়েছে। রবিবার এই মন্তব্য করলেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা ছাগন ভুজবল।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের এক প্রমোদতরীতে মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে চলতি মাসের ২ তারিখে আরিয়ানকে আটক করেছিল নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। একটানা ১৬ ঘণ্টা জেরা করার পর ৩ অক্টোবর আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েকদিন এনসিবির হেফাজতে থাকার পর আরিয়ান এখন রয়েছেন মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে। ইতিমধ্যেই আরিয়ানের জামিনের আর্জি পাঁচবার নাকচ হয়ে গিয়েছে। বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনের আর্জির পরবর্তী শুনানি হবে আগামী মঙ্গলবার।
কিন্তু মাদক কাণ্ডে আরিয়ানের জড়িত থাকার ঘটনায় প্রথম থেকেই এনসিবি’র একাধিক নেতা ও মন্ত্রী বিজেপির কূটনৈতিক চাল দেখছেন। এদিন ভুজবল বলেন, আরিয়ান অল্প বয়সি ছেলে। হয়তো সে কোনও ভুল করেও থাকতে পারে। কিন্তু শাহরুখ যদি বিজেপিতে যোগ দিতেন তাহলে এই ভুলটা আদৌ সামনে আসতো না। যেমনটা হয়েছে গুজরাতের ক্ষেত্রে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে মুন্দ্রা বন্দর থেকে ১৯ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়েছে।
কিন্তু এনসিবি বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের কোনও তদন্ত করছে না। একটি বাচ্চা ছেলের কাছে কী পাওয়া গিয়েছে তা নিয়েই এনসিবির বাঘা বাঘা অফিসাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আসলে তাঁদের মূল কাজ হল বলিউড তারকাদের হেনস্তা করা। বলিউড তারকারা সেভাবে বিজেপিকে সমর্থন করে না। সে কারণেই প্রতি হিংসা মেটাতে বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা এ ধরনের আচরণ করছে। আরিয়ান আসলে বিজেপির প্রতি হিংসার বলি।
এর আগে আরিয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আর এক এনসিপি নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক। তিনি সরাসরি বলেছিলেন, বিজেপির ইশারাতেই এনসিবি আরিয়ান ও তার পরিবারকে হেনস্তা করছে। এই ঘটনায় যে বিজেপি জড়িত আছে সে ব্যাপারে তাঁর কাছে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ আছে। সময় মতোই তিনি সেগুলি প্রকাশ করবেন। এদিন ভুজবল এই মন্তব্য করলেও এনসিবির পক্ষ থেকে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।