News Desk, New Delhi: অফিসের মধ্যেই এক সহকর্মীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের আন্ডার সেক্রেটারি পদে কর্মরত এক অফিসারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সহ সচিবের নাম ইচ্ছারাম যাদব (ichharam yadab)। শ্লীলতাহানির শিকার ওই মহিলাই যাবতীয় কুকীর্তির ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন।
একই সঙ্গে তিনি স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ প্রথমদিকে ওই আধিকারিকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ইচ্ছারামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে যোগী আদিত্যনাথের (yogi adittanath) রাজ্য উত্তরপ্রদেশে।
গত সপ্তাহে লখনউয়ের হুসেনগঞ্জের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের অফিসে এই ঘটনাটি ঘটেছে। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটিতে দেখা গিয়েছে, অফিসের ভিতরেই ইচ্ছারাম নামে ওই সহসচিব এক মহিলাকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। শুধু তাই নয়, ওই মহিলার গায়ে পিঠে হাত বুলাচ্ছেন। স্পর্শ করছেন আপত্তিকর অঙ্গ। সংশ্লিষ্ট মহিলা ইচ্ছারামাকে বারবার ঠেলে সরানোর চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হচ্ছেন। ইচ্ছারাম কার্যত ওই মহিলাকে জড়িয়ে ধরেছেন। ইচ্ছারাম ছিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের সহসচিব পদে কর্মরত। সংশ্লিষ্ট মহিলা ওই অফিসের চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর (computer operator)। শ্রীলতাহানির শিকার হওয়া বছর তিরিশের ওই বিবাহিত মহিলা হুসেনগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকে তিনি হুসেনগঞ্জের (husengang) ওই অফিসে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছেন। ওই দফতরের বিভাগীয় ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন ইচ্ছারাম। ২০১৮ সাল থেকেই তাঁর উপর ইচ্ছারাম মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই কম্পিউটার অপারেটর। তিনি বলেছেন, তাঁকে একাধিকবার বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়েছেন। এমনকী, তাঁর কথা মত কাজ না করলে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন ইচ্ছারাম।
কয়েকদিন আগে মহিলাদের টয়লেটের মধ্যে ঢুকে ইচ্ছারাম ওই কম্পিউটার অপারেটরকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। ওই মহিলা পুরো ঘটনাটি ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন এবং পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। ওই কম্পিউটার অপারেটর ২৯ অক্টোবর হুসেনগঞ্জ থানায় ইচ্ছারামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই তিনি শ্লীলতাহানীর ওই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তারপরই ইচ্ছারামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করার পর ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেকর্ড করা হয়েছে নির্যাতিতার বয়ান।