National Desk: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর তিনদিনের কাশ্মীর সফরের সোমবার ছিল শেষ দিন। এদিন অচেনা অমিত শাহকে দেখতে পেলেন কাশ্মীরের মানুষ।
শ্রীনগরে শের-ই কাশ্মীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে উঠে শাহ প্রথমেই বলেন, তিনি সরাসরি কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। তাই মাঝে কোনও আড়াল রাখতে চান না। শাহর এই বক্তব্যের পর পোডিয়াম থেকে বুলেটপ্রুফ শিল্ড সরিয়ে নেওয়া হয়।
অমিত শাহ বলেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা আমাকে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলতে পরামর্শ দিয়েছেন। পাকিস্তানের সঙ্গে পরে কথা বলব। সবার আগে আমি কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। জানতে চাই তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা সবার আগে কাশ্মীর ও লাদাখের উন্নয়ন করাই কেন্দ্রের লক্ষ্য।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন কাশ্মীরের উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণের জন্যই ৩৭০ ধারা বিলোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপরই শাহ যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন।
শাহ তাঁর ভাষণে বলেন, কাশ্মীরকে এখন আর অন্য রাজ্যগুলির থেকে কোনওভাবেই আলাদা করে দেখা হয় না। প্রধানমন্ত্রীর হৃদয়ে কাশ্মীরের স্থান। কাশ্মীরের উন্নয়নই সরকারের একমাত্র লক্ষ্য।
সফরের শেষ দিনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষীর ভবানী মন্দিরে পুজো দেন। গান্দেরবাল জেলায় রাগণ্যা দেবীর মন্দিরেও পুজো দিয়েছেন তিনি। একটি ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধন করেন তিনি। ১১৫ কোটি টাকা খরচ করে এই হাসপাতালটি তৈরি করা হয়েছে।
হাসপাতালের উদ্বোধন করে শাহ বলেন, আগে এই রাজ্যে মাত্র তিনটি মেডিকেল কলেজ ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এখানে আরও সাতটি মেডিকেল কলেজ তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন। এর ফলে ৫০০ নয়, এখন কাশ্মীরের ২০০০ যুবক-যুবতী ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবেন। শুধু তাই নয় এখন আর ডাক্তারি পড়ার জন্য কাউকে অন্য রাজ্যে যেতে হবে না।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন একটি চার হাজার কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ওই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, কাশ্মীরের যুবক সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানে সরকার সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছে। কর্মসংস্থান হলেই এ রাজ্যের উন্নয়ন ঘটবে। ভূ-স্বর্গে উন্নয়নের জন্য অর্থের কোনও অভাব হবে না। রাজ্যের উন্নয়নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও একবার যুব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। অমিত শাহ বলেন যুবসম্প্রদায়ই পারে কাশ্মীরকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে।
অন্যদিকে, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ এদিন কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস আমলে কাশ্মীর চলত পাথর নিক্ষেপকারীদের কথায়। রাজ্যের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বলতে কিছুই ছিল না। এখন কাশ্মীরের মানুষ ভালভাবেই বুঝতে পারছেন কংগ্রেস আমলে রাজ্যের কী অবস্থা ছিল আর ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর কোন জায়গায় তাঁরা পৌঁছেছেন। নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে কাশ্মীরে উন্নয়নের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। কাশ্মীরের এই উন্নয়নকে জোর কদমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য।