কমিউনিজম কি কেবলই বই পড়া কিছু আপ্তবাক্য? প্রশ্ন উঠতেই পারে। কারণ কেরলের (Kerala) মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয় চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন আমেরিকায়, চিনে নয়৷
ভারতীয় বামপন্থীদের কথা উঠলে সমান্তরালভাবে চলে আসে চিনের নাম। যদিও বামেদের অনেকেই এই তুলনা শুনলে নাম সিঁটকোন। কিন্তু সে দেশেই একছত্রভাবে চলে আসছে কমিউনিস্ট শাসন। অন্য দিকে আমেরিকার নামের সঙ্গে সেঁটে রয়েছে ‘পুঁজিবাদী’ লেবেল। বামেরা কি তা অস্বীকার করবেন?
চিকিৎসা করানোর জন্য আমেরিকায় যাচ্ছেন বিজয়ন। কেরল সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই খবর। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। জানুয়ারির ১৫ তারিখে মার্কিন মুলুকের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার কথা রয়েছে তাঁর। চিকিৎসা করাবেন রচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকে। স্ত্রী কমলা এবং ব্যক্তিগত সহকর্মী ভিএম সুনীশও যাচ্ছেন সঙ্গে। ১৫-২৯ তারিখ পর্যন্ত ভারতে থাকবেন না তাঁরা।
২০১৮ সালেও মায়ো ক্লিনিকে গিয়েছিলেন বিজয়ন। যদিও প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলেছিলেন সব নিজের হাতেই, আমেরিকা থেকে। নিজ ক্যাবিনেটে কারও কাঁধেই বাড়তি কাজ দিয়ে যাননি তিনি। জানিয়েছিলেন, অনলাইনে কাজ করতে তাঁর কিছু সমস্যা রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেই মতো কাজ এগোনোর দায়িত্ব পড়েছিল কেরলের তৎকালীন শিল্প মন্ত্রী ইপি জয়রাজনের হাতে। বিজয়নের অনুপস্থিতি তিনিই ক্যাবিনেট বৈঠকের তদারকি করেছিলেন।
এবারে কী করবেন পিনারাই? কাউকে নিজের কিছু কাজ বুঝিয়ে দিয়ে যাবেন, নাকি নিজেই সমস্তটা দেখবেন আমেরিকা থেকে? ঘুরছে একাধিক প্রশ্ন।