News Desk, New Delhi: প্রতিবেশী চিন এবং পাকিস্তানকে প্রবল চাপে ফেলে অত্যাধুনিক দূরপাল্লার লেজার নিয়ন্ত্রিত গাইডেড বোমার সফল পরীক্ষা করল ভারত। ওড়িশার বালাসোরে শুক্রবার বিকেলে বায়ুসেনা এই গাইডেড বোমার পরীক্ষা চালায়।
এদিন বায়ুসেনার সুখোই-৩০ যুদ্ধবিমান থেকে পরীক্ষামুলকভাবে ‘এলআর বোম’ নামে এই অত্যাধুনিক বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এই ঘাতক বোমাটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। বোমা তৈরি করেছে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও। এই অত্যাধুনিক বোমা ১০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে পারবে। এই বোমাটি লেজার রশ্মির সাহায্যে দিক নির্ণয় করে নিতে পারে। ডিআরডিওর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রায় ১০০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক নিয়ে যেতে পারবে এই গাইডেড বোমা। শক্তিশালী বোমার আঘাতে লক্ষ্যবস্তু একেবারে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে।
এই বোমা কতটা শক্তিশালী এবং কার্যকর তা খতিয়ে দেখার জন্য বোমার সঙ্গে সেন্সর, ইলেকট্রিক ট্রাকিং সিস্টেম এবং রাডারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য এর আগে কারগিল যুদ্ধ এবং বালাকোট হামলার সময় এই গাইডেড বোমা ব্যবহার করেছিল বায়ুসেনা। কিন্তু সেই বোমা ছিল ইজরায়েলের তৈরি। কিন্তু সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে এবার সেই শক্তিশালী লেজার নিয়ন্ত্রিত গাইডেড বোমা তৈরি করল ডিআরডিও। সংস্থার চেয়ারম্যান জি সতীশ রেড্ডি জানিয়েছেন, দেশের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে আজকের দিনটি একটি নতুন মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হবে। এই বোমার সাফল্যের কারণে আগামী দিনে অস্ত্রশস্ত্র তৈরিতে দেশীয় প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়বে।
অন্যদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বায়ুসেনা এবং ডিআরডিওর সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা যে কতটা দক্ষ শক্তিশালী গাইডেড বোমা তৈরি তারই উদাহরণ। আগামী দিনে ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম আর বিদেশ থেকে আমদানি করবে না, বরং দেশের বিজ্ঞানীরাই এই সমস্ত ঘাতক অস্ত্র তৈরি করবেন। যা ভারতকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
উল্লেখ্য, তিনদিন আগে অর্থাৎ বুধবার অগ্নি-৫ ব্যালেস্টিক মিসাইলের পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত। ওই ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভূলভাবে আঘাত হানতে পারবে। অগ্নি-৫ এর সফল উৎক্ষেপণে চিন ও পাকিস্তানের প্রায় গোটা এলাকায় ভারতীয় সেনাদের কব্জায় চলে এল। স্বাভাবিকভাবেই অগ্নি মিসাইল এবং তারপর গাইডেড বোমার সফল উৎক্ষেপণের কারণে প্রবল চাপে পড়েছে চিন ও পাকিস্তান। এই মুহূর্তে এই দুই দেশই ভারতের শক্তিশালী ও অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে যথেষ্টই উদ্বিগ্ন।