২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি ছিল নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) তুরুপের তাস। কিন্তু ক্ষমতা দখলের পর কর্মসংস্থান (Employment) তো দূরের কথা বরং ভারতে কর্ম সংকোচন ঘটেছে উদ্বেগজনক হারে। করোনাজনিত পরিস্থিতিতে দেশের বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এরই মধ্যে ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি’ নামে এক সংস্থার সমীক্ষা থেকে জানা গেল, শেষ চার মাসের মধ্যে ডিসেম্বরে (December) বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
পরিসংখ্যান থেকে দেখা গিয়েছে, ২০২১-এর অগাস্টে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৩ শতাংশ। নভেম্বরে কিছুটা কমে হয় ৭ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বরে ফের সেটা বেড়ে হয়েছে ৭.৯ শতাংশ। চার মাসের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি ডিসেম্বরে।
নভেম্বরের শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ধরা পড়ে। ওমিক্রনের প্রকোপ বৃদ্ধিতে গোটা দক্ষিণ এশিয়ার দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশে বিধিনিষেধ নতুন করে চালু চালু হয়েছে। ওমিক্রনের কারণে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায় বেকারত্বের হার বেড়েছে। নভেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ায় বেকারত্বের হার ছিল ৮.২ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর মাসে বেকারত্বের হার বেড়ে হয় ৯.৩ শতাংশ। ওই সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসে ভারতে গ্রামীণ এলাকায় বেকারত্বের হার ছিল ৬.৭ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৭.৩ শতাংশ।
চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত মিলেছিল। দেশের বিভিন্ন শিল্প সংস্থায় উৎপাদন বাড়ছিল। পাশাপাশি বাড়ছিল চাহিদাও। অর্থনীতিবিদরা অনেকেই বলেছিলেন, ধীরে হলেও পরিস্থিতি ক্রমশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কিন্তু ওমিক্রন সব হিসাব উল্টে দিল। ওমিক্রনের জেরে বিভিন্ন দেশ একাধিক বিধিনিষেধ এমনকী, লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছে। তাই অর্থনীতি আবারও বড় মাপের ধাক্কা খেতে পারে বলে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা।