উপনির্বাচনের ফলাফলের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমল: চিদম্বরম

News Desk: ২৯টি বিধানসভা এবং তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেই পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস হল। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্তে এটাই প্রমাণ…

chidambaram petrol price

News Desk: ২৯টি বিধানসভা এবং তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ফলাফলের বাইপ্রোডাক্ট হিসেবেই পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস হল। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাসের সিদ্ধান্তে এটাই প্রমাণ হল যে, মোদি সরকার মাত্রাতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর কারণেই পেট্রোপণ্যের দাম লাগামছাড়াভাবে বেড়ে চলেছে।

কংগ্রেস দিনের পর দিন এই অভিযোগ করেছে। সেই অভিযোগ যে কতটা সত্যি সেটা আজ সকলেই বুঝতে পারছেন। মোদি সরকারের লোভের কারণেই দেশে পেট্রোপণ্যের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্য হ্রাস করা সম্পর্কে বৃহস্পতিবার এই মন্তব্য করলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম (P Chidambaram)।

দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। কিন্তু সেটা কখনওই এতটা বাড়েনি যে, দেশের বাজারে পেট্রল, ডিজেলের লিটার প্রতি দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আসলে মোদি সরকার দিনে-দুপুরে মানুষের পকেট কাটছে। মোদি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য হল তাদের কয়েকজন শিল্পপতি বন্ধুর পকেট ভরানো। দেশের বাকি মানুষের কি হল তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। সে কারণেই তারা লাগামছাড়াভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছিল। উপনির্বাচনের ফলাফল এবং কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই মোদি সরকার শেষ মুহূর্তে সামান্য দাম কমিয়ে চমক দেখাতে চাইছে।

পেট্রোল-ডিজেলের হঠাৎ করে দাম কমানো প্রসঙ্গে কংগ্রেস এদিন মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করেছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা (priyanka gandhi) গান্ধী বলেছেন, মোদি সরকার মন থেকে নয়, ভয় পেয়ে পেট্রোপণ্যের দাম কমিয়েছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও Randeep Sing Surjawala)মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, চলতি বছরে মোদি সরকার প্রতি লিটার পেট্রোলে ২৮ টাকা এবং ডিজেলের দাম ২৬ টাকা বাড়িয়েছে। এখন তারা প্রতি লিটার পেট্রোলে ৫ টাকা এবং ডিজেলে ১০ টাকা দাম কমিয়ে দেওয়ালির উপহার বলে চিৎকার করছে। আসলে এটা মোদি সরকারের এক বড় জুমলা।

আরজেডি নেতা তথা দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ Lalu Prasad) যাদবও একই কথা বলেছেন। লালুর দাবি, পেট্রোল ডিজেলে লিটার প্রতি ৫০ টাকা করে দাম কমানো উচিত ছিল। কিন্তু মোদি সরকার সেটা করেনি। চমক দিতে লিটারপ্রতি মাত্র ৫ ও ১০ টাকা দাম কমিয়েছে। তবে আগামী কয়েক মাস পরে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন মিটে গেলে মোদি সরকারের ফের পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে দেবে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যশবন্ত সিনহা (Yasbant Sinha)বলেছেন, পেট্রোপণ্যের দাম যতটা কমানো উচিত ছিল ততটা কমেনি। মোদি সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয়। মোদি সরকার যদি সাধারণ মানুষের কথা ভাবতো তবে কখনওই এভাবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ত না। মোদি সরকারের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে মাটির কোনও যোগ নেই। যদি থাকতো তাহলে তাঁরা দেখতে পেতেন, পেট্রোল- ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।