News Desk: আরিয়ান খান ( ariyan khan) কাণ্ডে ক্রমশই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছে বিজেপি ও এনসিপি। দুই দলের মধ্যে মাদক কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো তর্কাতর্কি চলছে। এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (nabab malik) অভিযোগ করেছেন, আরিয়ান কাণ্ডের পিছনে রয়েছে বিজেপির অঙ্গুলি হেলন। শনিবার সন্ধ্যায় নবাবের সেই অভিযোগ অস্বীকার করলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ (mohit kamboj) ।
কন্বোজ বলেন, এনসিপি ঘনিষ্ঠ সুনীল পাতিল (sunil patil) মাদক কাণ্ডের মূল চক্রী। এনসিপি সুনীলকে ঢাল হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে। রাজ্যের এক মন্ত্রী সুনীলকে সামনে রেখে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। তাঁকে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। মাদক কাণ্ডে রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোহিত।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি নেতা ও মন্ত্রীদের স্পষ্ট করে জানাতে হবে তাঁরা কি মাদক কারবারীদেরই সমর্থন করছেন। মাদক কারবারীদের সমর্থন করতে গিয়েই কি তাঁরা এনসিবির আধিকারিককে নিশানা করতে চাইছেন।
বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ দাবি করেন, মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম ( dawood ibrahim) ঘনিষ্ঠ মাদক মাফিয়াদের সঙ্গে রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রীকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।
মোহিত এদিন আরও বলেন, আরিয়ান কাণ্ডের মূল চক্রী সুনীলের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্ক। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা অনিল দেশমুখের (anil deshmukh) ছেলে হৃষিকেশ দেশমুখের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা রয়েছে সুনীলের। আরিয়ান মামলার সাক্ষী কিরণ গোসাভিও সুনীলের লোক। তিনি বলেন, আসলে বিজেপির বিরুদ্ধে একটি বড় মাপের চক্রান্ত চলছে। সুনীলের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের কিসের সম্পর্ক সেটা স্পষ্ট করতে হবে।
মোহিতের দাবি, কয়েক দিন আগেই মুম্বইয়ে (mumbai)একটি হোটেল ভাড়া করেছিলেন সুনীল। সেখানে কোন কোন এনসিপি নেতা এসেছিলেন এবং কেন তার জবাব দিতে হবে নবাবকে।
বিজেপি নেতার সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন নবাব। তিনি পাল্টা বলেছেন, আসলে এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে বাঁচাতেই বিজেপি নেতা এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথা বলেছেন। আসলে তিনি চাইছেন বিষয়টি থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে। তবে সত্য চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা পারা যায় না। রবিবারই আমি প্রকৃত সত্য সামনে আনব।