নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উত্তরাখণ্ড(Uttarakhand), হিমাচল প্রদেশ, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য এলাকা তছনছ। দুর্যোগ কমে এলেও আসছে মৃত্যু সংবাদ। উত্তরাখণ্ডের দুর্গম সুন্দরডুঙ্গা অভিযানে গিয়ে দুর্যোগের কবলে পড়ে মারা গেছেন অন্তত চার বাঙালি পর্বতারোহী অভিযাত্রী।
সুন্দরডুঙ্গার পাহাড়ি খাঁজে পড়ে থাকা পশ্চিমবঙ্গের এই অভিযাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি উত্তরাখণ্ড সরকার। জানানো হয়, ওই অভিযাত্রীদের সঙ্গে থাকা এক কুলি কোনরকমে বেঁচে ফিরেছেন। তিনিই ভয়াবহ অবস্থার কথা জানান।
সূত্রের খবর, সু্ন্দরডুঙ্গা অভিযানে যাওয়া এই দলটির ৬ -১০ জন সদস্য। এরা পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছিলেন। স্থানীয় এক পোর্টার পোর্টার(কুলি) এই তথ্য দেন প্রশাসনকে।
সুন্দরডুঙ্গা কেমন ভয়ঙ্কর ?
হিমালয়ের অন্যতম দুই পর্বত শৃঙ্খলা গাড়োয়াল ও কুমায়ুন। এই দুটি শৃঙ্খলা পড়ে উত্তরাখণ্ড রাজ্যে। সুন্দরডুঙ্গা অভিযান দুর্গমতর। এটি কুমায়ুন পর্বত শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।
আগেই সুন্দরডুঙ্গার সফল অভিযান করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যতম পর্বতারোহী ও অভিযাত্রী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বর্ধমান শহরের ভ্রামনিক ক্লাবের সদস্য। www.ekolkata24.com কে তিনি জানান, সুন্দরডুঙ্গা দুর্গম। জনপ্রিয় পিন্ডারী হিমবাহ অভিযানের বিশেষ অংশ থেকে সুন্দরডুঙ্গা যাওয়ার পথ ভেঙে গিয়েছে। অনেকেই সুন্দরডুঙ্গা এড়িয়ে যান। কারণ, এই এলাকার দুর্গমতা বেশি। সুন্দরডুঙ্গার চড়াই পেরিয়ে যে উপত্যকায় নামতে হয়, সেখানেই ক্যাম্প খাটান অভিযাত্রীরা।
পর্বতারোহী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, সুন্দরডুঙ্গার ভয়াবহতা কী হয়েছে আন্দাজ করতে পারছি। দুর্যোগের কবলে পড়া ওই পর্বতারোহীরা সুন্দরডু়ঙ্গায় ভয়াবহ ধসের কবলে পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে ওখান থেকে বের হওয়া মুশকিল।
অভিজিৎবাবু নিজেই উত্তরাখণ্ডে অভিযানে গিয়ে এখন হরিদ্বারে আটকে আছেন। তিনি জানান, পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাঁর আশঙ্কা গাড়োয়াল বা কুমায়ুনের এমন বহু এলাকা আছে যেখানকার সঠিক পরিস্থিতি জানতে আরও সময় লাগবে।উত্তরাখন্ড সরকার জানিয়েছে, মৃত অভিযাত্রীদের উদ্ধারে বায়ু সেনার কপ্টার ব্যবহার করা হবে।