নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহার ঘোষণা করার পর রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দেলনরত কৃষকদের অভিনন্দন জানান। এর পরেই টিএমসি সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানান, সুখেন্দু শেখর রায় সাতশো জন কৃষক মারা গিয়েছেন। কেন এতদিন পরে ? এতদিন তো কেন্দ্র বলছিল আমরা এই আইন ফেরাবো না।
এটা ওরা বাধ্য হয়ে করেছে। আগামি ফেব্রুয়ারি মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচটা রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তাই এই কালা কানুন ওরা ফিরিয়ে নিলো। এতদিন তো এই আন্দোলনরত কৃষকদের কে শদ্রোহী বলে বলছিলেন। এটা কৃষকদের জয়, অন্নদাতাদের জয়।
তিনি আরও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কে এর জন্য জনসমক্ষে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং আমরা দাবি করছি যারা মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এই জয় প্রতিটা কৃষকের জয় যারা নিরবিচ্ছিন্নভাবে এই আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন।
এটা একটা ভোটের গিমিক। আপনারা জানেন কিছুদিন আগেই একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি তে গাড়ি চাপা দিয়ে আন্দোলন রত কৃষকদের মেরে দিয়েছে। অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিন তৃণমূল সংসদ সদস্য বলেন, দেশের অধিকাংশ কৃষক যারা আন্দোলন করছিলেন তারা ইতিমধ্যেই ঘোষনা করেছিলেন যে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে সংসদে যে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হতে চলেছে সেই সময় প্রতিদিন দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখাবে। এই সিদ্ধান্ত তারই আরো এক প্রতিফলন। ৩৫ টা কৃষক সংগঠন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী এমন ভাব করছেন যে উনি কৃষকদের প্রতি দয়া করছেন।
ওরা অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বিল আনার আগে এই বিষয়ে ওরা কোনো কৃষক সংগঠনের সঙ্গে আলাপ আলোচনাও করেনি। ওদের মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ সংসদে মিথ্যা বলেছিলেন। ওরা ২০২৪ এ নিজেদের পরাজয় কে ঠেকাতে একটা মিথ্যা প্রয়াস করছে।
তিনি জানান, সংসদে আমরা এই বিষয়টা অবশ্যই তুলবো। অন্য রাজনৈতিক দলের সাথেও কথা বলবো। এতদিন একবারের জন্যেও এই কালা কানুন ফেরানোর কথা ভাবেনি। আজ নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে ফিরিয়ে নিলো। সকলেই বুঝতে পারছে কারণ টা কি। এটা লোকতন্ত্রের জয়। তৃণমূল কংগ্রেস এই বিক্রেতা সরকারের সব ধরনের জনবিরোধী কাজের বিরোধিতা করছে এবং করবে। কেন্দ্র সরকার অবশ্যই ব্যাকফুটে।