নিউজ ডেস্ক: আর কয়েক মাস পরেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগে গো-বলয়ের বৃহত্তম এই রাজ্যে যথেষ্টই চাপে রয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। রাজ্যে একের পর এক নারী নিগ্রহ, ধর্ষণের ঘটনা ছাড়াও সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্র গাড়িচাপা দিয়ে ৪ কৃষককে খুনের ঘটনায় জড়িয়েছেন।
গাড়িচাপা দিয়ে কৃষক হত্যার এই ঘটনায় বিজেপি ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে পড়েছে। এরই মধ্যে ভোটের ঠিক আগে বিজেপির সঙ্গে জোট ছিন্ন করে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়ার কথা ঘোষণা করল ওমপ্রকাশ রাজভরের সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি।
উত্তরপ্রদেশে ভোটে আজও জাতপাতের অঙ্ক এক বড় বিষয়। নির্বাচনের আগে সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি সপার সঙ্গে যোগ দেওয়ায় রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ বদলে যেতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এই দলটির মূলভিত্তি মূলত রাজভর সম্প্রদায়ের মধ্যে। রাজভরদের উপর বিশেষ প্রভাব রয়েছে এই দলের প্রধান ওমপ্রকাশ রাজ ভরের। রাজ্যের ১২ টি জেলায় রাজভরদের বেশ প্রভাব রয়েছে। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজভরদের সমর্থন পাওয়াতেই বিজেপি চমকপ্রদ ফল করেছিল।
কিন্তু এবার পরিস্থিতি একেবারেই পাল্টে গিয়েছে। রাজভর সম্প্রদায়ের ভোটকে নিজেদের কব্জায় আনতে বেশ কিছুদিন ধরেই সচেষ্ট হয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। কিছুদিন আগে তিনি ওমপ্রকাশের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। শেষ পর্যন্ত ওমপ্রকাশের দল সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট গড়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নিল।
অখিলেশ এবং ওমপ্রকাশ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশকে বিজেপি মুক্ত করতে সমাজবাদী পার্টি এবং সুহেলদেব ভারতীয় সমাজ পার্টি এক জোট হয়ে লড়াই করবে। তবে কোন শর্তে ওমপ্রকাশপর দলের সঙ্গে সমাজবাদী পার্টি জোট করল তা এখনো জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, সমাজবাদী পার্টি আগেই জানিয়েছিল এবার তারা কংগ্রেস বা বিএসপির মত কোনও বড় দলের সঙ্গে জোট করবে না। বরং রাজ্যের ছোট ছোট কিন্তু আঞ্চলিক ক্ষেত্রে প্রভাবশালী দলের সঙ্গেই তারা জোট করবে। নির্বাচনের আগে নিষাদ পার্টিও যাতে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে যোগ দেয় সে ব্যাপারে অখিলেশ আলোচনা চালাচ্ছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি এই দল। উত্তরপ্রদেশে ছোট ছোট আঞ্চলিক দলগুলির কিন্তু বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। তাই সমাজবাদী পার্টি যদি এভাবে ছোট ছোট দলগুলির সঙ্গে জোট করতে পারে তবে বিজেপি যথেষ্ট উদ্বেগে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।