নিউজ ডেস্ক: ভরা আদলতে ভয়াবহ হামলা। গুলি চলেছে। রক্তাক্ত পরিবেশ। খোদ রাজধানীতেই এমন ঘটনা নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। এ কী শুধু দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর সংঘর্ষ? উঠছে প্রশ্ন।
শুক্রবার দুপুরে দিল্লির রোহিণীর আদালত চত্বরে ভয়াবহ হামলা মার্কিন মুলুকে বন্দুকধারীদের যে হামলা হয় সেরকমই। আদালত চত্বরে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে আনা হয়েছিল গ্যাংস্টার গোগীকে। সেখানেই তাকে গুলি করা হয়। আইনজীবীদের বেশেই যে ওই ভিড়ের মধ্যে গোগীর বিরোধী গোষ্ঠী টিল্লুর লোকেরা হাজির ছিল সেকথা উঠে এসেছে। গুলিতে মৃত্যু হয়েছে আরও দু জনের। তাদের দেহে আইনজীবীর পোশাক।
পুরো ঘটনাটা সিনেমার মতো। এজলাসে গুলি করে খুন। গ্যাংস্টার গোগীর বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। আদালতের ২০৭ নম্বর ঘরে সেই শুনানি চলছিল। বিচারপতি গগনদীপ সিংহের এজলাসে শুনানির মাঝেই হামলা হয়। পুলিশও গুলি চালায়।
এমন ঘটনা মারকাটারি বলিউড বা দক্ষিণী ছবির চিত্রনাট্যে বারবার দেখা গিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের ধারণা, সিনেমা থেকেই হামলার ছক করা হয়। তবে হামলার পিছনে দুই গ্যাংস্টার গোষ্ঠী সংঘর্ষ নাকি আর কোনও কারণ আছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রতিক অতীতে এমন ঘটনার মুখে পড়েনি। আদালত চত্বরের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়ছে দিল্লি পুলিশ।
সিএএ বিরোধী আন্দোলনে দিল্লির জামিয়া নগরে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আসা, কৃষক লং মার্চে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কৃষকদের উপর চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বারবার। দিল্লির লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় গুলির সংঘর্ষ ঘটেছে এর আগেও। রাজধানী জঙ্গি হামলার মুখেও পড়েছে।