নিউজ ডেস্ক: হাজার হাজার আসামি। সবার যে নাম আছে তাও নয়। বাংলাদেশ সরকার তদন্ত করছে পূজামণ্ডপে পরপর হামলা, খুনের পিছনে কারা জড়িত। বিবিসি জানাচ্ছে, কুমিল্লায় একটি পূজামণ্ডপে কোরান পাওয়ার পর ওই ঘটনার জের ধরে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা হয়েছে। এই সংখ্যা চার হাজারের অধিক।
ঢাকা, কুমিল্লা, ফেনি, কিশোরগঞ্জ, চাঁদপুর সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলা, পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বিবিসি জানাচ্ছে পূজামণ্ডপগুলিতে হামলায় জড়িত সন্দেহে করা হাজার হাজার মামলায় কারও কারও নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর অজ্ঞাতনামা হিসাবে শতাধিক থেকে শুরু করে কয়েক হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। গত বুধবার দুর্গাপূজার সময় থেকে শুরু হওয়া হিংসাত্মক ঘটনায় ৬ জন নিহত। জখম হয়েছেন কয়েকশো।
ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপ ভাঙার পর চাঁদপুর হয়েছে রক্তাক্ত। সেই রেশ ধরে ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় আসামি চার হাজারের বেশি। বিবিসি জানাচ্ছে, গত শুক্রবার ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে মিছিল বের করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এর পরেই সংঘর্ষে জড়ায় মিছিলকারীরা।পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার সেল ও শটগানের গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসব মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশে দুর্গাপূজা মণ্ডপে পরপর হামলা, খুন,পুলিশের গুলি চালনা সবমিলে পরিস্থিতি তীব্র বিতর্কিত। সরকার কেন নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলেও কিছু ব্যবস্থা করেনি এই অভিযোগ বড় করে উঠে আসছে।
প্রবল চাপের মুখে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন ‘কোনও কারণ ছাড়া পূজামণ্ডপগুলোতে অস্থিরতা হয়নি। এর পেছনে নিশ্চয় কোনও কারণ আছে’। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়েই অস্থিরতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা এর সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দুর্গাপূজায় হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় তিনি দু:খ প্রকাশ করেন।