নিউজ ডেস্ক: NEET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হয় মূলত দিল্লী বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী। অন্যদিকে বাংলার বেশিভাগ ছাত্রছাত্রী রাজ্য বোর্ডের স্কুলেই শিক্ষা লাভ করে। ফলে NEET-এর মাধ্যমে রাজ্য বোর্ডে শিক্ষালাভ করা ছাত্রছাত্রীদের ডাক্তারি পড়ার সুযোগ অনেক কমে যাচ্ছে। বাংলার ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ বিরোধী সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা মেডিকেল NEET বাতিলের দাবিতে চলতি সপ্তাহের শনিবার হাজরা মোড়ে পথসভার ডাক দেওয়া হয়েছে বাংলাপক্ষর তরফ থেকে।
আরও পড়ুন মালদহের কলেজে চাকরিতে বাধ্যতামূলক হিন্দি, প্রতিবাদে পথে বাংলাপক্ষ
CBSE বোর্ডের সিলেবাস অনুযায়ী সিলেবাস হওয়ায় এর রাজ্যর বোর্ডের ছাত্রছাত্রীরা প্রবল সমস্যায় পড়ে। একই সঙ্গে প্রচুর অর্থ খরচ করে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য ভর্তি হতে হয়। যা সাধারণ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে সম্ভব হয় না। প্রান্তিক পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা NEET প্রবেশিকা পরীক্ষা চালু হওয়ার পর থেকে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখাই ছেড়ে দিয়েছে। তাদের হয়েই পথে নামা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। কয়েকদিন আগেই বাংলাপক্ষের আন্দোলনের পরে বাংলা ভাষায় পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হয়েছে WBSEDCL-এ। একইভাবে এবারও তাদের আন্দোলন সফল হবে বলে আশা বাংলাপক্ষের সদস্যদের।
সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় জেলা থেকে চিকিৎসক হওয়ার সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তার ফলে আগামী দিনে জেলার হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়ার তীব্র সংকট তৈরি হবে। এছাড়াও রাজ্য বোর্ডের ছাত্রছাত্রীদের ডাক্তারি পরার সুযোগ কমের আরেকটি কারণ পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারিতে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি। এর ফলে যে কেউ খুব সহজে তার অভিভাবকরা পশ্চিমবঙ্গে কর্মসূত্রে বসবাস করছেন এমন সার্টিফিকেট নিয়ে এসে ভর্তি হয়ে যান। কিন্তু অন্য রাজ্যে ডোমেসাইল-বি নীতি চালু না থাকার ফলে সেইসব রাজ্যের বাংলার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে রাজ্যের মেডিকেল কলেজে ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে ডোমেসাইল-বি নীতি বাতিল করার দাবিও তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকার সেই রাজ্যে মেডিকেল NEET বাতিল করার জন্য বিধানসভায় বিল পাস করেছে। অন্য কিছু রাজ্যও এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছে।