নিউজ ডেস্ক: ওমান থেকে বাংলাদেশ যাওয়ার পথে নাগপুরের কাছাকাছি এসেই হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিমান চালক ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম। কোনওরকমে কলকাতা এটিসির সহযোগিতায় সহকারী পাইলট নাগপুরে বিমান অবতরণ করান। সেখানেই সোমবার মৃত্যু হয়েছে নওশাদের।
বাংলাদেশের বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটির যাত্রীরা নিরাপদে ঢাকা পৌঁছেছেন রবিবার। তবে অসুস্থ পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের চিকিৎসা নাগপুরেই চলছিল।
টানা ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় কোমায় ছিলেন নওশাদ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট এখন না ফেরার দেশে। সোমবার সকালে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তার আগেই নওশাদের ব্রেনডেথ হয়েছে বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, গত শুক্রবার ওমানের রাজধানী মাস্কট থেকে ঢাকা আসছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই ফ্লাইট। ঢাকা আসার পথে পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করানো হয়। এরপর নাগপুরের ওই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়। শনিবার রাতেই নওশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তিনি কোমায় চলে যান।
ক্যাপ্টেন নওশাদ ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ হলেও স্বজনরা লাইফ সাপোর্ট খুলে দিতে রাজি হচ্ছিলেন না। আরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এরপর সোমবার তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে নওশাদকে মৃত ঘোষণা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।