নিউজ ডেস্ক: ভারতে এখনও পর্যন্ত ৬৮ কোটিরও বেশি মানুষকে কোভিড ভ্যাকসিনের (vaccine) প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। করোনার সম্ভাব্য তৃতীয় ঢেউের উদ্বেগের মধ্যে সরকার টিকাকরণের গতি বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। একদিকে যেখানে দেশে মানুষকে দ্রুত করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে আন্তর্জাতিক বাজারে নকল ভ্যাকসিন সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকায় একটি নকল কোভিডশিল্ড ভ্যাকসিন পাওয়া গিয়েছে৷ যার পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (WHO) উদ্বেগ প্রকাশ করে সমস্ত দেশকে সতর্ক করেছে।
রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ভুয়ো ডোজ নিয়ে রাজ্যগুলিকে একটি চিঠি লিখেছে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, টিকা দেওয়ার আগে তাদের অবশ্যই স্যাম্পল পরীক্ষা করতে হবে। মন্ত্রক আসল এবং নকল ভ্যাকসিন সনাক্ত করার জন্য মানদণ্ডের একটি তালিকা শেয়ার করেছে৷ এই তালিকা অনুসারে, কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিনগুলি সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। কেন্দ্র থেকে পাঠানো মানদণ্ডে ভ্যাকসিনের লেবেল কী, তার রঙ, ব্র্যান্ডের নাম সম্পর্কে তথ্য, সনাক্তকরণের জন্য তিনটি ভ্যাকসিনে শেয়ার করা হয়েছে।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রিপোর্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হাতে এসেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, ভারতের প্রাথমিক কোভিড -১৯ (covid19) ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের জাল ডোজ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে দাবি এই দাবি করা হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, কোভিশিল্ডের জাল ডোজ দেশজুড়ে ধরা পড়েছে। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মধ্যেই অসুস্থ মানসিকতার লোকদের কারণে অনেক জীবন বিপদে পড়ছে৷ যারা এই দুর্যোগেও সুযোগ নিচ্ছে৷ ভারতে এখনও পর্যন্ত ৬৮.৪৬ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।