News Desk, Kolkata: আশঙ্কা যা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা সেটাই বাস্তব হতে চলেছে। শারদোতসবের পর ও দীপাবলির আগে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। স্বাস্থ্য দফতরের সতর্কতা মেনে জোর দেওয়া হচ্ছে নাইট কারফিউতে।
রবিবার রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায় মৃত ৩ জন করে। রাজ্যে করোনায় মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১৯,০৬৬ জন। তবে প্রায় সপ্তাহখানেক পর রবিবার রাজ্যে কমেছে অ্যাক্টিভ কেস। কিন্তু বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাইক্রো কনটেনমেন্ট এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার আলিপুর সদর, বারুইপুর, ক্যানিং, ডায়মন্ডহারবার ও কাকদ্বীপ এই পাঁচটি মহকুমার ১৩টি থানা এলাকায় মোট ৪২টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এবং ব্যারাকপুর মহকুমা এলাকায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। থাকবে পুলিশ পিকেটিং।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, কোথাও একটা, দুটো রোগী থাকলে গোটা এলাকাকে কনটেনেমেন্ট জোন করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। এক্ষেত্রে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে।
শারোদোৎসবে ভিড় ও আসন্ন দীপাবলি উতসবের মাঝে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিন্তিত রাজ্য সরকার। অভিযোগ, এই পরিস্থিতি হবে যেনেও সরকার শারদোৎসবের মাঝে নিয়মবিধি শিথিল করে।
এর পর আসছে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তার জন্য চলছে প্রচার। ভোট ৩০ অক্টোবর। সোমবার রাজ্য সরকার জানায় আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।