নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষের আরও একটি রাজনৈতিক দিক হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ। সেই সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্র ছিল আগরতলা। ততকালীন ত্রিপুরার তরুণ সিপিআইএম নেতা গৌতম দাস মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জনমত গঠন করতেন। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাঁর লেখনি আলোড়ন ফেলত।
প্রয়াত সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাসকে শেষ শ্রদ্ধা জানাল বাংলাদেশ সরকার। সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কার্যালয়ে গিয়ে প্রয়াত নেতার দেহে পুষ্পস্তবক দেন আগরতলার বাংলাদেশ অ্যাসিস্ট্যান্ট হাইকমিশনার ও দূতাবাসের কর্মীরা।
রাজনৈতিক জীবনে বহু সম্মান পেয়েছেন গৌতম দাস। এর মধ্যে ছিল অনন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’। প্রতিবেশি বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই ‘মুক্তিযুদ্ধ’ চলাকালীন ত্রিপুরায় সিপিআইএমের তরুণ নেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন গৌতম দাস। সেই সূত্রে তাঁকে এই সম্মান দেয় বাংলাদেশ সরকার।
সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি জানিয়েছে, গৌতম দাসের জন্ম ১৯৫১ সালের ২৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে। পরে তাঁর পরিবার আগরতলায় চলে আসে। রাজনৈতিক জীবনে গৌতম দাস বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখতেন। প্রতিবেশি দেশের বামপন্থী দল ওয়ার্কাস পার্টি, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল।
বৃহস্পতিবার সিপিআইএম ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকের প্রয়াণ হয় কলকাতায়। রাতেই তাঁর দেহ আনা হয় ত্রিপুরায়। রাতভর ভিড় ছিল রাজ্যের বিরোধী দলের রাজ্য দফতরে। আগরতলা লোকারণ্য। সিপিআইএমের প্রয়াত রাজ্য সম্পাদককে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ত্রিপুরাবাসী।