নিউজ ডেস্ক: বন্যা বন্দি হওয়ার আশঙ্কা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বিশেষত বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া। নিম্নচাপের অতি বৃষ্টিতে দুর্গা পুজোর আগেই বন্যার আশঙ্কা। তবে আশার কথা নিম্নচাপ কাটছে। কিন্তু ঝাড়খন্ডে বৃষ্টির কারণে দামোদর-অজয় উপত্যকা এলাকার সব নদ নদী এখন ফুলতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবারেই অজয়ের ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গিয়েছে বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের বিস্তির্ন এলাকায়। অন্যদিকে বাঁকুড়ায় নজিরবিহীন বৃষ্টির জেরে গন্ধেশ্বরী, কংসাবতী, দারকেশ্বর দু কুল ছাপিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। পশ্চিম বর্ধমানে বরাকর, দামোদর নদের জলস্তর বেড়েছে।
এদিকে ধারণ ক্ষমতার বেশি পরিমাণ জল জমা হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ডিভিসির (DVC) দুর্গাপুর (Durgapur) ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত জল ছাড়া হয় ২,২১,১৮৬ কিউসেক। রাত দশটার পর তা বাড়িয়ে করা হয় ২,৩১,২৪৮ কিউসেক। ডিভিসি জল ছাড়া বাড়িয়ে দিতেই দক্ষিণবঙ্গের দামোদর সংলগ্ন জেলাগুলিতে জলমগ্ন পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কা থাকছে।
ডিভিসির অতিরিক্ত জল শুক্রবার দামোদর হয়ে পূর্ব বর্ধমান থেকে হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুর পৌঁছাবে। এই জলেই প্লাবিত হতে পারে উদয়নারায়ণপুর ও আমতা-২ ব্লকের শতাধিক গ্রাম। আর তাই আগে থেকেই প্রশাসন সতর্ক।বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে প্রশাসনিক তৎপরতা।
দামোদর তীরবর্তী এলাকাগুলি যেমন প্নাবিত হওয়ার আশঙ্কা, তেমনই অজয়-ময়ুরাক্ষী তীরের বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের বিভিম্ন এলাকায় আতঙ্ক। হুগলির বহু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেই প্রশাসনের চিন্তা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ ও উদ্ধারকারী দলকে প্রস্তুত করা হয়েছে।