Viral Video: কাশ্মীরে তেরঙা উত্তোলন করলেন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডারের বাবা

নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি। মৃত্যুর পর তাঁর দেহকে পাকিস্তানি পতাকায় মুড়ে ঘোরানো হয় উপত্যকায়।…

নিউজ ডেস্ক: ২০১৬ সালে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানি। মৃত্যুর পর তাঁর দেহকে পাকিস্তানি পতাকায় মুড়ে ঘোরানো হয় উপত্যকায়। সেই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন কাশ্মীরের প্রচুর মানুষ, যারা প্রত্যেকেই সমর্থন করেন সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনকে। সেই বুরহান ওয়ানির বাবা মোজাফফর ওয়ানি আজ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতীয় তেরঙ্গা উত্তোলন করেন।

মোজাফফর ওয়ানি স্থানীয় একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল তাঁর তেরঙা উত্তোলন করার ভিডিও। ‘আজাদী কা অমৃত মহোৎসবের’ অংশ হিসেবে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক শিক্ষা দপ্তর সহ সমস্ত বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাধীনতা দিবসে সমস্ত অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। শনিবার শোনা গিয়েছিল বুরহান ওয়ানির বাবা কেন্দ্রের এই জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন নি। ফলে তিনি অধ্যক্ষের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করেছেন। যদিও তারপরেই একটি ভিডিও বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেন।

হিজবুল মুজাহিদিনের ‘পোস্টার বয়’ ছিলেন বুরহান ওয়াদি। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নিয়মিত কাশ্মীরি যুবকদের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য অস্ত্রের ছবি পোস্ট করতেন এই কমান্ডার। ২০১০ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর প্রায় ছ’মাস ব্যাপক অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল কাশ্মীরজুড়ে।

২০০৮ সালে আইপিএস অফিসার আব্দুল জব্বারের নেতৃত্বে অপারেশন চালিয়ে তাঁকে মারেন ভারতীয় সেনা। গত বছর প্রজাতান্ত্রিক দিবসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ থেকে বীরত্বের জন্য পুলিশ পদক পেয়েছিলেন তিনি। এবার কমান্ডারের বাবার তেরঙা উত্তোলনের ছবি দেখে ভারতীয় সেনার বীরত্বের কথাই শোনা যাচ্ছে নেটিজেনদের মুখে।