অনলাইন নিউজ: বাঁকুড়া: জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে গেল বাঁকুড়া (Bankura) শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীর উপর নির্ম্মীয়মাণ কাঠের সেতু। এই অবস্থায় সেতু তৈরীর জন্য বরাদ্দ ১৫ লক্ষ টাকা জলে গেল পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই এই ঘটনা ঘটছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বিগত বাম আমলে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী নদীর উপর সতীঘাটে একটি ফুট ব্রীজ তৈরি হলেও কয়েক বছর আগে তা জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরে রাজ্য পূর্ত দপ্তর একই জায়গায় নতুন করে ১৭ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে ১৫৪.০৩ মিটার লম্বা ও ১৫.৫৫ মিটার চওড়া একটি সেতুর তৈরির কাজ শুরু করে। কিন্তু কাজ শুরু হলেও সেভাবে কাজ আর এগোয়নি। ফলে চরম সমস্যায় নদীর ওপারের কেশিয়াকোল, বিকনা সহ একটা একটা বড় অংশের কয়েক হাজার মানুষ।
এই অবস্থায় বাঁকুড়া পৌরসভা নদী পথে যাতায়াতের জন্য ফি বছর নতুন করে অস্থায়ী সেতু বানায়। আর তা প্রতিবছর বর্ষার সময় তা ভাসিয়ে নিয়ে চলে যায়। এবার একই জায়গায় ১৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে কাঠের সেতু নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছিল পৌরসভা। আগামী মহালয়ার দিন তা উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত দু’দিনের বৃষ্টিতে বন্যার তোড়ে নির্ম্মীয়মান সেতু ভেসে যাওয়ায় পৌরসভার পরিকল্পনাহীনতাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় মানুষ। সরকারী অর্থের অপচয় ছাড়া কোন কাজ হয়নি বলে তাদের দাবি।
আর এর পিছনে সেই ‘কাটমানি’ তত্বকে হাজির করেছে বিজেপি। তাদের দাবি কাঠের সেতু তৈরি করা হচ্ছিল বিনা টেণ্ডারে। অথচ গত তিন বছরেও স্থায়ী সেতু তৈরীর কাজ শেষ হলোনা। তৃণমূলের ছোটো বড় সব নেতাই কাটমানিতে যুক্ত বলে তাদের দাবি।
বিষয়ে বাঁকুড়া পৌরসভার প্রশাসক অলকা সেন মজুমদার বলেন, আমরা ভেবেছিলাম বাঁকুড়ার মানুষকে পুজোর আগে সেতু উপহার দেবো। তা আর হলোনা! এর আগে এতো বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় বাঁকুড়ায় হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।