নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক দুর্যোগে নৈনিতাল শহরের পরিস্থিতি প্রতি আধঘন্টায় খারাপ হচ্ছে পূর্বের অবস্থা থেকে। সকাল থেকে যেভাবে নৈনিতাল হ্রদের জল ঢুকতে শুরু করেছে তাতে এই শৈলশহর বিচ্ছিন্ন। পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে দুপুরের পর থেকে। এই অবস্থায় হ্রদ সংলগ্ন এলাকায় সেনা জওয়ানরা নামলেন জলবন্দিদের উদ্ধারে।
নৈনিতাল হ্রদের জল যেন সমুদ্র উপকূলের বাঁধভাঙা ঢেউয়ের মতো। প্রচন্ড গতিতে সেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। স্রোতের মুখে মানব প্রাচীর গড়ে উদ্ধার শুরু করলেন জওয়ানরা। নৈনিতাল শহরে এতবড় বিপর্যয় সাম্প্রতিক সময়ে আর হয়নি।
প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস মিলিয়ে হিমালয়ের গাড়োয়াল ও কুমায়ুন দুই পার্বত্য শৃঙ্খলায় অতিভারি বর্ষণ শুরু হয়েছে। বিচ্ছিন্ন পার্বত্য এলাকার জনপদগুলি।
গাড়োয়াল হিমালয়ের দেরাদুন, মুসৌরি, গঙ্গোত্রী, হরশিল, বদ্রীনাথ, চামোলি, পিপলকোঠি,শ্রীনগরের সঙ্গে হরিদ্বারের যাতায়াত বন্ধ। জানা যাচ্ছে কেদারনাথের উপরে শুরু হয়েছে তুষারপাত। বদ্রীনাথের উপরেও তুষারপাত শুরু।
অন্যদিকে কুমায়ুন পার্বত্য শৃঙ্খলার হলদোয়ানি, রানিক্ষেত, কাঠগোদাম ও নৈনিতালের মধ্যে যাতায়াত পুরো স্তব্ধ। কিছু এলাকায় ভেঙেছে রেল লাইন।
কুমায়ুন হিমালয়ের বিখ্যাত নৈনি হ্রদের জল পাড় উপচে নৈনিতাল শহরের ভিতর রাত থেকেই ঢুকছে রাত থেকেই। জলবন্দি এই শৈলশহর। বহু পর্যটক আটকে পড়েছেন। নৈনিতালের জল পুরো শহরের নিম্নাংশ জুড়ে ছড়িয়েছে। ফলে হ্রদের উপরের দিকে থাকা শহরের অংশ আর নিচের অংশ পুরো বিচ্ছিন্ন। প্রবল বৃষ্টির বিরাম নেই যেন। চারিদিক বৃষ্টিতে সাদা।
নৈনিতাল শহরের এমন জলবন্দি পরিস্থিতি যে খাবার ও জ্বালানিতে টান ধরতে পারে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মোবাইল পরিষেবায় বিঘ্ন হতে শুরু করেছে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গঙ্গা, অলকানন্দা সহ বিভিন্ন নদীতে প্রবল জলস্রোত। বেশকিছু এলাকায় সেতু ভাঙার খবর এসেছে। দুর্যোগের মধ্যে পড়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় উত্তরাখণ্ড সরকার তৈরি বলে জানানো হয়। তবে দুর্যোগ যে আকার নিয়েছে তাতে উদ্ধার চালানো অসম্ভব।