নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে গান্ধী জয়ন্তীতে অনশনকারী কৃষকদের উপর জলকামান ও লাঠি চার্জের ঘটনায় প্রবল উত্তপ্ত হরিয়ানা। রাজধানী চন্ডীগড়ে মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারের বাসভবন ঘেরাও করলেন কৃষকরা। বিক্ষোভকারীরা ভেঙে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা বলয়ের ব্যারিকেড।
বিক্ষোভের এই ছবি ও সংবাদ হরিয়ানা থেকে হু হু করে ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ সহ দেশ জুড়ে। উত্তপ্ত হরিয়ানার কারনাল। পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়াতে শুরু করেছে।
বিক্ষোভকারী কৃষকদের অভিযোগ, আন্দোলন দমাতে হরিয়ানার বিজেপি সরকার ধান কেনার সময় দশ দিন পিছিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হওয়ার প্রবল আশঙ্কা। বিক্ষোভকারী কৃষকরা সকাল থেকেই হরিয়নার বিভিন্ন এলাকার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কেন্দ্রগুলির দিকে মিছিল করে আসতে থাকেন।
মিছিল আটকে দিয়ে পুলিশের তরফে অনুরোধ জানানো হয় এভাবে মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বাসভবনের দিকে যাওয়া যাবে না। উত্তেজিত কৃষকরা পুলিশের ব্যারিকেডের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরু হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। পুলিশ লাঠি চালায়। পরে জলকামান চার্জ করে। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারের বিরুদ্ধে সংযুক্ত কিষান মোর্চার অভিযোগ, তিনি কৃষকদের দাবিকে মান্যতা দিচ্ছেন না।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে সংযুক্ত কিষান মোর্চা (SKM) ও সারা ভারত কৃষকসভা (AIKS) নেতৃত্বে জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর জন্ম জয়ন্তীর দিন অনশন পালন চলছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে অনড় লক্ষ লক্ষ কৃষক। কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক তথা উলুবেড়িয়ার প্রাক্তন সিপিআইএম সাংসদ হান্নান মোল্লা জানিয়েছেন, দিনভর অনশন কর্মসূচি চলবে।
সংযুক্ত কিষান মোর্চা জানিয়েছে, গান্ধী জয়ন্তীর দিন স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম কেন্দ্র বিহারের চম্পারণ থেকে উত্তর প্রদেশের বারাণসী পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু হবে। টানা ১৮ দিনের এই পদযাত্রায় ওডিশা, বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে কৃষকরা অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সংসদীয় কেন্দ্র বারাণসীতেই হবে বিক্ষোভ।