পোস্ট অফিসে ১০ হাজারের বেশি জমা করলেই দিতে হবে টাকা

রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের (modi government) একটাই পথ জানা আছে। সেটা হল মানুষের পকেট কাটা। করোনাজনিত (corona situation) পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ নিতান্তই কষ্টে…

post office

রাজস্ব সংগ্রহ বাড়াতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের (modi government) একটাই পথ জানা আছে। সেটা হল মানুষের পকেট কাটা। করোনাজনিত (corona situation) পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ নিতান্তই কষ্টে দিনযাপন করছেন। কিন্তু সে সব ঘটনার খবরই রাখেন না মোদী বা তাঁর অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সে কারণেই কেন্দ্রের মোদী সরকার নিয়মিত পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের (petrol, disel, lpg) দাম বাড়িয়েছে। বাড়িয়েছে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলের মত প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বছরের শুরুতেই মোদী সরকার নতুন বছরের উপহার (new years gift) হিসাবে দেশবাসীর ওপর একের পর এক খরচের বোঝা চাপিয়ে চলেছে।

এবার ডাক বিভাগে বা ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংকে (payment Bank) টাকা রাখতে গেলেও গুনতে হবে চার্জ। নতুন নিয়মে পেমেন্ট ব্যাঙ্কে মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি জমা করলেই ০.৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২৫ টাকা বাড়তি খরচ বহন করতে হবে। এখানেই শেষ নয়। বিনামূল্যে টাকা তোলার সীমাও বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। মাসে ২৫ হাজারের বেশি টাকা তুললেও অতিরিক্ত ০.৫ শতাংশ কর দিতে হবে।

২০২২-এর ১ জানুয়ারি থেকে পোস্ট অফিসের সেভিংস ও কারেন্ট অ্যাকাউন্টে এই নতুন পকেট কাটা নিয়ম চালু হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রবল ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার সাধারণ ও দরিদ্র মানুষ। তাঁরা বলেছেন, মোদী সরকার যদি এভাবে সবক্ষেত্রেই তাঁদের কাছ থেকে টাকা কেড়ে নেয় তবে তাঁরা কীভাবে সংসার চালাবেন! অনেকেই আশঙ্কা করছেন, আগামী দিনে সমস্ত ব্যাংকেই এই নিয়ম কার্যকর হতে পারে। তাই অবিলম্বে বিষয়টির প্রতিবাদ জানানো দরকার।

উল্লেখ্য, শনিবার বা ১ জানুয়ারি থেকেই এটিএমে লেনদেনের ক্ষেত্রেও মানুষকে বাড়তি চার্জ দিতে হচ্ছে। ৩০ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংকের তরফে লেনদেনের ক্ষেত্রে বাড়তি চার্জ কাটার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শনিবার ২০২২০-এর প্রথম দিন থেকেই এই বাড়তি চার্জ আদায় করছে কেন্দ্র। ইন্ডিয়া পোস্ট পেমেন্ট ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, মাসে চার বারের বেশি টাকা তুললে ০.৫ শতাংশ বাড়তি কর দিতে হবে। পাশাপাশি মাসে ১০ হাজার টাকার বেশি জমা করলেই ০.৫ শতাংশ বাড়তি খরচ বহন করতে হবে।