রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জেলাগুলির মধ্যে কলকাতায় সর্বাধিক করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শহরে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ২৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫। এবার এক নয়া নিয়ম জারি করল প্রশাসন। এখন থেকে দোকান বাজারে বিক্রেতা পিছু একজন করে ক্রেতাকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। অর্থাৎ, একসাথে একের বেশী লোক কেনাকাটা করতে পারবে না।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও রাজ্যের মুখ্যসচিব হরে কৃষ্ণ দ্বিবেদির একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিনের বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ফিরহাদ হাকিম, দ্বিবেদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চ আধিকারিক, স্বাস্থ্যদফতরের কর্তারা।
বৈঠকে ঠিক করা হয়, সংক্রমণ রুখতে বাজারে ভিড় কমাতে হবে। তাই এখন থেকে বিক্রেতা পিছু একজন ক্রেতা থাকবে। অর্থাৎ বাজারে যতসংখ্যক বিক্রেতা হয়েছেন, ঠিক তত সংখ্যক ক্রেতাই বাজারে ঢুকতে পারবেন। দ্রুতই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে এবং এই নিয়ম সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশকে।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও কড়াভাবে বিধিনিষেধ পালন করার কথা জানান। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সকলকে সচেতন হতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিছুদিন আগেই মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ঘোষণা করেন কোনও এলাকায় ৪-৫ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলেই সেখানে মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করা হবে। মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনের এলাকাগুলিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। ছোট ছোট আবসনগুলিতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশী, তাই আগামী দিনে এগুলিকেও মাইক্রো কনটেইনমেন্ট জোনে রূপান্তরিত করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।