নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রি শেষে দশেরা। এই দিনেই রাবণ পোড়ানো হয় পশ্চিম ও উত্তর ভারতের সর্বত্র। সেই অনুষ্ঠানকে সামনে রেখেই কৃষি আইন বিরোধিতায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর কুশপুতুল পোড়ানোর বার্তা দিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
কিষাণ মোর্চা জানিয়েছে, লখিমপুর খেরিতে (lakhimpur kheri) কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ঘটনার প্রতিবাদে হবে মোদী পোড়ানোর কর্মসূচি। উত্তর প্রদেশ জুড়েই মোদী-যোগীর কুশপুতুল পোডানো হবে গণহারে। এটি একটি প্রতীকি প্রতিবাদ। যেভাবে কৃষকদের উপর দমন নীতি চলছে তার বিরোধিতা চলবেই।
উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লিতে হবে রাবণ রূপী মোদীর কুশপুতুল পোড়ানো।
উত্তরপ্রদেশের লাখিমপুর খেরির ঘটনার প্রতিবাদে সারা দেশজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি করবে বলে জানায় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। আগেই কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, আগামী ১৮ অক্টোবর দেশজুড়ে রেল রোকো আন্দোলন হবে। আর ২৬ অক্টোবর লখনৌতে হবে মহাপঞ্চায়েত। কিষাণ মোর্চা জানায়, ১২ অক্টোবর লাখিমপুর খেরিতে শোক পালন হবে।
কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগে টানা ১২ ঘন্টার জেরা শেষে গ্রেফতার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পুত্র আশিস মিশ্রকে। ফলে আরও অস্বস্তিতে উত্তর প্রদেশ সরকার। লখিমপুর খেরিতে কৃষক খুন মামলায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রর পুত্র আশিস মূল অভিযুক্ত। গত ৩ অক্টোবর তার গাড়ি কৃষক জমায়েতের উপর প্রবল গতিতে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, কৃষকদের ইচ্ছাকৃত পিষে মারে আশিস ও তার সাগরেদরা। লখিমপুর খেরিতে এই রক্তাক্ত ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আশিস পলাতক ছিল।
আশিসকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? সুপ্রিম কোর্টের এই প্রশ্নে নাজেহাল হয় উত্তর প্রদেশের বিজেপি সরকার। পরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আশিসকে ডেকে পাঠায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ। শুক্রবার হাজিরা এড়িয়ে শনিবার আসে আশিস। জেরা চলে দিনভর। এর পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
লখিমপুর খেরি পুলিশ লাইনে জেরা শেষে ডিআইজি উপেন্দ্র আগরওয়াল জানান, অভিযুক্ত আশিসের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি আছে। সে সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি। তাকে গ্রেফতার করা হলো।
আশিস মিশ্রর পিতা নিজের প্রভাব খাটিয়ে পুত্রকে বাঁচাতে চাইছেন, এমন অভিযোগ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। কেন্দ্র সরকারের কৃষি নীতির প্রতিবাদে জমায়েতে আশিস মিশ্রর নির্দেশে গাড়ি নিয়ে হামলা হয় বলে অভিযোগ। এতে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। চার জন কৃষক।
সারা ভারত কৃষকসভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা দাবি করেছেন আশিস মিশ্রর কড়া শাস্তি হোক। এই ঘটনার জেরে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বিএসপি একযোগে বিজেপিকে আক্রমণ করেছে। বিধানসভা ভোটের আগে রীতিমতো হাওয়া গরম পরিস্থিতি।