News Desk: যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে বাস ও টোটোর মধ্যে বিবাদ। সেই বিবাদ পৌঁছায় হাতাহাতিতে। তারপরই বন্ধ হয়ে গেল বাস। ঘটনাটি ঘটেছে গ্রামীণ হাওড়ার আমতা-২ জয়পুরে। সূত্রের খবর, যাত্রী তোলা নিয়ে জয়পুর থানার সাবগাছতলা এলাকায় জয়পুর-বাগনান রুটির একটি বাসের সাথে একটি টোটোর ড্রাইভারের তুমুল বচসা হয়। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বাগনান-জয়পুর রুটের বাস চলাচল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাসে ডিউটি করে জয়পুর মোড় থেকে কাঁকরোলের গ্রামে বাড়ি ফিরছিলেন সংশ্লিষ্ট রুটের এক বাস চালক। সেই সময় তার উপর চড়াও হয় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতি। তাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর আহত বাস ড্রাইভারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকেই জয়পুর-বাগনান রুটের বাস বন্ধ করে দেন বাস মালিক, ড্রাইভার ও কন্ডাকটররা। পাশাপাশি, হাওড়া-ঝিকিরা রুটেরও বাস বন্ধ করে দেন বাসকর্মীরা। হঠাৎ বাস বন্ধের জেরে সমস্যায় পড়েন বহু যাত্রী।
এদিকে রাজ্যে পেট্রোল–ডিজেল সেঞ্চুরি করেছে। স্বাভাবিকভাবেই বেসরকারি বাস বিপাকে পড়েছে। একই ভাড়ায় এভাবে দিনের পর দিন টানা সম্ভব নয় বলে পরিবহণমন্ত্রীকে চিঠি পর্যন্ত দিয়েছেন বাস–মালিক সংগঠনের কর্তারা। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ জুনের পর পশ্চিমবঙ্গে বাস ভাড়া বাড়েনি। সেখানে লাগাতার বেড়ে চলেছে পেট্রোপণ্যের দাম। তাতে হিমসিম খাচ্ছেন বাস–মালিকরা। অনেকেই বাস রাস্তায় নামানো পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে এখন চাপ পড়ছে সরকারি বাসের উপর। কিন্তু লোকসান মেনে নিয়ে তাঁরাও কতদিন বাস চালাতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বেসরকারি বাস–মালিকদের বক্তব্য, ভাড়া না বাড়লে বাস বন্ধ পুরোপুরি হয়ে যাবে। তাই ভাঁইফোটার পর বাস–মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পেট্রোল–ডিজেলের দাম বাড়ছে। তাতে বাস–মালিকদের সত্যিই সমস্যা হচ্ছে। এইদিকটা দেখতে হবে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভাঁইফোটার পর বাস–মালিকদের নিয়ে বৈঠকে বসব।’