নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রী হিসেবে নির্মলা সীতারমন প্রথম লখিমপুর খেরির (Lakhimpur Kheri) ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করলেন। তবে কথায় বলে ভাঙবে তবু মচকাবে না, এক্ষেত্রে নির্মলা অনেকটা তেমন ভূমিকাই পালন করেছেন। আমেরিকার হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের মোসাভর-রহমানি সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড গভরমেন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
সেখানেই তিনি শ্রোতাদের একের পর এক কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়েন। যার মধ্যে লখিমপুরও ছিল। লখিমপুর নিয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্মলা বলেন, উত্তরপ্রদেশের কৃষক মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পাশাপাশি বিজেপির ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে নির্মলা বলেন, শুধু যে বিজেপি শাসিত রাজ্যেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে তা নয়। বিরোধী শাসিত রাজ্যেও এ ধরনের অশান্তির ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু সেগুলিকে সামনে আনা হয় না। অবিজেপি রাজ্যের ঘটনাকে অনেক ক্ষেত্রেই সামনে আনে না সংবাদমাধ্যম।
নিজের ভাষণে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকেও কটাক্ষ করেন নির্মলা। অমর্ত্য সেন একাধিকবার মোদি সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর যে আচরণ করা হয় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সে কারণেই অমর্ত্য সেন বরাবরই মোদি সরকারের অপছন্দের তালিকায় রয়েছেন। অমর্ত্যর কথা টেনে নির্মলা বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কিন্তু এটা ঘটনা যে, পন্ডিত মানুষেরা নিজেদের ভালো-মন্দের পছন্দের বৃত্তেই নিজেদেরকে আটকে রাখেন। বাস্তব তথ্যের উপর ভিত্তি করে নয়, তারা নিজেদের পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে মতামত প্রকাশ করেন। অমর্ত্যের মতো বহু মানুষ আছেন যাঁরা নির্বিঘ্নে ভারতের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তাঁরা কি কখনো কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার মুখে পড়েছেন! পন্ডিত মানুষদের উচিত তথ্যনির্ভর ব্যাখ্যা করা, যা সরকারের কাজে লাগে। যেকোনও জিনিস নিয়ে কোনও একজনের ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে। সেটা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু তথ্যভিত্তিক ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কেউ যদি নিজস্ব ধ্যান ধারণার উপর ভিত্তি করে কোনও মন্তব্য করেন তাহলে কিছু বলার নেই।