নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদ কিরোদি লাল মীনাকে রাজস্থানে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পুলিশের আপত্তি সত্ত্বেও ডা: কিরোদি লাল মীনা এবং তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক আমাগড় দুর্গে পতাকা উত্তোলনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি নিজেই টুইট করে এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সংসদ সদস্যকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস গেরুয়া পতাকা উত্তোলনের জেরে উত্তেজনার শঙ্কা প্রকাশ করেছিল৷ তার পরে পুলিশও প্রস্তুত ছিল।
প্রকৃতপক্ষে, এমপি ডা: কিরোদি লাল মীনা আমাগড় দুর্গে মীনা সমাজের পতাকা উত্তোলনের পর টুইট করে ভিডিও শেয়ার করেছেন। টুইটের মাধ্যমে তিনি তাঁর গ্রেপ্তারের কথাও জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন- ‘আমাগড় দুর্গে আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’ গ্রেফতারের পর বিজেপি সংসদ সদস্যকে বিদ্যাধর নগর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওগুলি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এমপিসহ তাঁর বহু সমর্থককেও দেখা যাচ্ছে। আজ, রবিবার সকালে তিনি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পাহাড়ে উঠে দুর্গে মীনা সমাজের পতাকা উত্তোলন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে আবার গ্রেফতার করে।
তার সমর্থকদের দ্বারা রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “আমি এবং আমার সমর্থকরা মীনা সম্প্রদায়ের পতাকা উত্তোলন করেছি।” মীনা এবং তাঁর সমর্থকরা ঘটনার অনেক ভিডিও এবং ছবি ক্যামেরায় ধারণ করেন৷ পরে মীনার টুইটার হ্যান্ডেল থেকে টুইট এবং রিটুইট করা হয়। আমাগড় দুর্গটি জয়পুরে অবস্থিত।
তবে সাংসদ মীনাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেত্রী বসুন্ধরা রাজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ বসুন্ধরা রাজে হুমকি দিয়ে অশোক গেহলট সরকারকে ঘেরাও করে সংসদ সদস্যের মুক্তি দাবি করেছেন। তিনি টুইট করেছেন, ‘আমাগড় দুর্গের ক্ষেত্রে ধর্মের নামে রাজনীতি করে কংগ্রেসকে উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে৷ ডা: কিরোদি লাল মীনা জি’র গ্রেপ্তার নিন্দনীয়। তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত’।