নিউজ ডেস্ক: জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ থেকে আসন্ন অক্টোবর মাসে দেশে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এখনও সক্রিয়-বিশেষ করে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জেলায়। এর পরেও সিকিম সরকার অন্য রাজ্যের পর্যটক টানতে ঝুঁকি নিল।
সিকিমের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ প্রতিবেশি পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাংশে ছড়িয়েছে। দার্জিলিং এখনও করোনার মারাত্মক সংক্রমণ কেন্দ্রের একটি। এই জেলায় এখন কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার সংক্রমণের থেকেও বেশি। শৈলশহরের করুণ চিত্র পর্যটনের জন্য বিরুপ পরিবেশ।
এরই মাঝে সিকিম সরকার দীর্ঘদিন পর আবার পর্যটনের জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে। সিকিম পর্যটন দফতর জানিয়েছে, অতি সুন্দর লাচুংয়ের ইয়ুমথাং উপত্যকায় পর্যটকরা যেতে পারবেন।
সিকিমের আরও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র চিন সীমান্তের নাথু লা, ছাঙ্গু লেক, বাবা মন্দিরে প্রচুর পর্যটক যান। কিন্তু গত দু বছর করোনা সংক্রমণের কারণে উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিকিম প্রায় অবরুদ্ধ ছিল। প্রথমদিকে করোনা ঠেকাতে পারলেও পরে সিকিমে ছড়ায় এই জীবানু সংক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিম আসার সড়ক পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হয়।
এদিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে করোনার সংক্রমণ বেশি ছড়ায়। জলপাইগুড়িতে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও দার্জিলিংয়ে সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই জেলা প্রশাসন আপ্পাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।
সিকিমে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় ছড়ানোর আশঙ্কা ছিলই। সংক্রমণ ছড়িয়েছে। উত্তরবঙ্গের আকাশে জীবাণুর মেঘ ছড়িয়েছে।
আসন্ন অক্টোবরে দেশজোড়া করোনার তৃতীয় ঢেউ আসছে। কেন্দ্র সরকার উদ্বেগে। এরই মাঝে সিকিম সরকার যেভাবে পর্যটন টানতে ঝাঁপ দিচ্ছে তাতে এই রাজ্য তো বটেই পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে চিন্তার।সূত্রের খবর, নবান্ন থেকে গ্যাংটকে বার্তা পাঠানো হবে।
এদিকে সিকিম সরকার জানিয়েছে, এই রাজ্যে ঘুরতে আসার আগে প্রতি পর্যটককে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। সেটি না থাকলে প্রবেশের অনুমতি মিলবে না।