নিউজ ডেস্ক: শিক্ষিকের খামখেয়ালিপনা এমনই যে পড়ুয়ারা আতঙ্কিত। একটু বড় চুল দেখলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের দিকে কাঁচি নিয়ে তাড়া করছেন। অন্তত ১৬ জন পড়ুয়ার মাথা কামাতে বাধ্য করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। এমনই অবস্থা বাংলাদেশের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের।
অভিযোগ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তালিবানি কায়দা’ আরোপ করেছেন শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রক্টর। রবিবার প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার আগেই ছাত্রদের চুলে হামলা করেন প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন।
পরীক্ষা হলে ঢোকার আগেই ছাত্রদের চুল কাটতে থাকেন ফারহানা ইয়াসমিন। এই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের সহকারী প্রক্টর রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস মুনি। তারা প্রতিবাদ না করে নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে ছিলেন বলে অভিযোগ।
ঘটনার জেরে ছাত্ররা রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে জমায়েত করেন। আরও অভিযোগ, ওই শিক্ষক ও তার ভাড়াটিয়া গুণ্ডারা পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে ও সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এর পরেই ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেছে। পুরো ঘটনাটি সোশ্যাল সাইটে তীব্র বিতর্ক তৈরি করেছে।
শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন মাঝে মধ্যেই ছাত্রদের গায়ে হাত দিয়ে কথা বলেন। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তিনি যখন তখন গায়ে হাত দেন বলেও অভিযোগ।