নিউজ ডেস্ক: ১৯৭২ সালে বন্য জীব সংরক্ষণ আইন তৈরি হয়৷ তার পর থেকে কার্বেট টাইগার রিজার্ভে ১ এপ্রিল ১৯৭৩ তে বাঘ সংরক্ষণ পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছিল। সেই সময়ে দেশজুড়ে মাত্র ২৬৮ বাঘ ছিল। বর্তমানে শুধুমাত্র কার্পেট টাইগার রিজার্ভে ২৫০টি বাঘ রয়েছে বলে দাবি করে বনদপ্তর।
এখানে বাঘ সংরক্ষণের জন্য যে রূপরেখা তৈরি করা হয়েছিল, তার মধ্যে সবথেকে কার্যকারী কারণ ছিল এখানকার ঘন জঙ্গল এবং সেখানে উপস্থিত শাকাহারী জন্তু।
কার্বেট টাইগার রিজার্ভের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া রামগঙ্গা নদী এখানকার পশুদের জন্য জীবনদায়ী। এই নদীটি থাকার জন্য বাঘরা কালাগঢ় থেকে ঢিকালা পর্যন্ত পর্যাপ্ত জল পেয়ে যায়। রামগঙ্গা নদী ঘাঁটিতে বাঘেদের আনাগোনা লেগেই থাকে।
কার্পেট টাইগার রিজার্ভে বাঘ সংরক্ষণ শুরু করার ফলে এখানে বাঘের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে বলেই মনে করছে এখানকার কর্মচারীরা। সংরক্ষণের পদক্ষেপ নেওয়ার পর থেকে বাঘ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গতি এসেছে বলেই মনে করেন তারা। এই এলাকায় বাঘ সংরক্ষণ করা একটা বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলেই মনে করা হয়। এখন এখানে প্রায় ২৫০টি বাঘ আছে বলেই মনে করা হয়। এই এলাকার সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রকৃতি বাঘের অনুকূল বলেই মনে করা হচ্ছে। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারদের এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুবই পছন্দ হয়ে গিয়েছে বলেই মনে করা হয়।
কার্বেটে সব থেকে বেশি বাঘ কালাগড়ের জঙ্গলে আছে। এই এলাকায় বাঘদের সুরক্ষা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে। এমনকি টেকনোলজির সাহায্য নিয়ে এই এলাকায় বাঘদের সুরক্ষিত রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জঙ্গলটি ই-সার্ভিলেন্সে রয়েছে। ক্যামেরার মাধ্যমে এই জঙ্গলের আনাচে-কানাচে নজর রাখা হয়। বনক্ষেত্র গুলোর এখনও সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন এখানকার এলাকাবাসীরা৷ তবে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে কার্পেট টাইগার রিজার্ভে যেভাবে বাঘের সংখ্যা বেড়ে চলেছে সন্তোষজনক বলে মনে করছেন বাঘ বিশেষজ্ঞরা। এই মুহুর্তের দেশে বাঘের সংখ্যা যথেষ্ট ভাল বলেই মনে করা হচ্ছে। এক সময় শিকারের কারণে দিনের-পর-দিন এখানে বাঘের মৃত্যু হয়েছে।
দেশজুড়ে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি যথেষ্ট ইতিবাচক বলে মনে করছে বন আধিকারিকরা এবং বাঘ বিশেষজ্ঞরা। অনেকে বলছেন প্রকৃতি মানুষকে আরও একটা সুযোগ দিয়েছে৷ বাঘ সংরক্ষণ করার এই সুযোগ মানুষের কখনও হাতছাড়া করা উচিৎ না বলেও মন্তব্য করছেন অনেকে। আগামিদিনে বাঘের এই সংখ্যা দেশজুড়ে বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে।