নিউজ ডেস্ক: আচমকা তোলপাড় বাংলাদেশ (Bangladesh)। ঢাকা (Dhaka)মহানগর পুলিশের ঝটিকা অভিযানে গোপন বৈঠকে অংশ নেওয়া জামাত ইসলামির (Jamaat e Islami) সেক্রেটারি জেনারেল সহ ৭ শীর্ষ নেতা ধৃত। বাংলাদেশের জামাত ইসলামি সংগঠনটি ১৯৭১ সালে দেশটির স্বাধীনতার লড়াইয়ের তীব্র বিরোধিতা করে। তৎকালীন সময়ে পাকিস্তান সরকারের সেনার হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খুন ও একাধিক শিউরে ওঠা গণহত্যায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত এই দলটি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানাচ্ছে, গোপনে রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করছিল জামাত নেতৃত্ব। তারা দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে গোপনে একত্রিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।
জামাত ইসলামি সংগঠনটির পূর্বতন শীর্ষ নেতৃত্বের বেশ কয়েকজনকে আগেই ফাঁসি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শিউরে ওঠা গণহত্যা ও গণধর্ষণের অভিযোগ ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে প্রমাণ হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
পরপর নেতৃত্বের মৃত্যুদণ্ডে বাংলাদেশ জামাত ইসলামি কার্যত নেতৃত্বহীন হয়েছিল। তবে সংগঠনটি ফের নতুন নেতৃত্বকে নিয়ে আসে। এই পর্যায়ে জামাতের কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ। সোমবার এই দুই শীর্ষ জামাত নেতা সহ মোট ৭ জনকে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার একটি অফিসে বৈঠক করার সময় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়িতে জামাত ইসলামি সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনের একটি অফিস আছে। ওই অফিসে জামাতের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা গোপন বৈঠক করছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই অফিসটি ঘিরে ফেলে। অভিযান চালিয়ে নেতাদের আটক করা হয়। কয়েকজন পালিয়ে যায়। ধৃত জামাত নেতাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময়ে ভাঙচুর ও নাশকতার মামলা রয়েছে।