নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ ছাড়িয়ে এবার জলপাইগুড়ির অজানা জ্বরের গতি দক্ষিণবঙ্গে। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে কমপক্ষে ৪২ জন শিশু আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসা চলছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
হাসপাতালের সুপার ধীমান মন্ডল জানিয়েছেন, শিশুদের ওয়ার্ডে মোট ৫৫ টি বেডের মধ্যে ৪২ টি ভর্তি। জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে। তবে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
অজানা জ্বর জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের পর এবার উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতেও ছড়াচ্ছে। এবার হামলা উত্তর দিনাজপুরে। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যেই ১৫ জন শিশু জ্বর সহ অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি। কী কারণে জ্বর জানা যায়নি। হু হু করে ছড়াচ্ছে জলপাইগুড়ি জ্বরাতঙ্ক।
রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ১৫-১৬ জন শিশু এখনও চিকিৎসাধীন। মনে করা হচ্ছে ভাইরাল নিউমোনিয়া ফিভার ছড়িয়েছে। রায়গঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা পর্যাপ্ত বলেই জানানো হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে এই সংক্রামক অজানা জ্বর জলপাইগুড়িতে হামলা করছে। চিকিৎসকরা থই পাচ্ছেন না। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শতাধিক শিশু চিকিৎসাধীন। অনেকের শ্বাসকষ্ট উপসর্গ আছে। ফলে করোনার কিছু লক্ষণের সঙ্গে মিল থাকলেও এটি করোনা সংক্রমণ নয় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
জলপাইগুড়ি ছাড়িয়ে কোচবিহার ও শিলিগুড়িতেও শিশুরা এই অজানা জ্বরের কবলে। আশঙ্কা উত্তরবঙ্গের রাজধানী শিলিগুড়িতে এই জ্বর ছড়াতে শুরু করলে, পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে। রোগীর দেহের নমুনা নিয়ে কলকাতায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টের অপেক্ষায় চিকিৎসকরা।
করোনা এখনও যায়নি। সংক্রমণ কমলেও আছে চারপাশেই। আসন্ন শারদোৎসবের আগে করোনার দোসর হয়ে এসেছে এক অজানা জ্বর। সেই জ্বরে শয়ে শয়ে শিশু আক্রান্ত। জলপাইগুড়ি কাঁপছে জ্বরে। উত্তরবঙ্গ জুড়ে ভয়, কারণ জ্বর ছড়িয়েছে কোচবিহারেও। শিশু মৃত্যুর খবরে আতঙ্ক বাড়ছে।
অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন নিয়ে রাজ্য সরকার যতটা চিন্তিত, তার কণামাত্র নেই অজানা জ্বরের প্রকোপ নিয়ে। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের একাংশ ক্ষুব্ধ। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ এই অজানা জ্বরের দ্বিতীয় কেন্দ্র।
দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ির সঙ্গে পুরো উত্তর পূর্বাঞ্চলের ৮টি রাজ্য ও দেশের বাকি অংশের অনবরত যোগাযোগ। তেমনি উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলার মূল যাতায়াত কেন্দ্র। শিলিগুড়িতে অজানা জ্বর ছড়ালে এর প্রভাব আরও চিন্তার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।