নিউজ ডেস্ক: অনেক দিন পর বৃষ্টিহীন সকাল , কিন্ত মেঘ বলছে এসবই মরীচিকা। আপনি মেঘ জল এখন কিছু চাইলেও তা ভরতি করে দিয়ে যাবে এই মরসুমের মহাপদ বৃষ্টি, যা বাড়িয়েই চলেছে বিপদ।
হাওয়া অফিসের মূল চিন্তা গুলাব নিয়ে নয়। তারা চিন্তিত ঘূর্ণাবর্ত নিয়ে। কারণ এবার এমনিতেই গত ১৩ বছরের রেকর্ড বৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। সচিনের তেন্ডুলকরের মতো নতুন রেকর্ড নতুন রেকর্ড গড়েই চলেছে বৃষ্টি। তথ্য বলছে ইতিমধ্যেই তা গত সাত দিনে তিন দশকের বৃষ্টির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। শুধু কলকাতাতেই হয়েছে ২৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টি, যা সেপ্টেম্বর মাসের কোনও একদিন বৃষ্টির নিরিখে সর্বকালীন একটি রেকর্ড। এবার ভাবুন এরপর আবার আকাশ জল ঢাললে শহর ,গ্রাম ভরে রাখবে কোথায়? উবুচুবু বালতিতে আর এক ঘটি জল ঢাললে যা অবস্থা হয় সেই অবস্থা এখন দক্ষিণবঙ্গের। হাওয়া অফিস এমন অবস্থায় একটুও সুখবর দিচ্ছে না। উল্টে বলছে, ‘আরও আরও , আরও আরও, বৃষ্টি আসছে , পারলে ধরে রেখো’।
আজ কলকাতায় সকাল পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ০.০০ মিলিমিটার, যা আপাত স্বস্তির তা আকাশের মুখ দেখলেই বুঝতে পারবেন। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৭, সর্বনিম্ন ৫৫ শতাংশ।
সবমিলিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যে সেপ্টেম্বর মাসে বাংলার পিছু ছাড়ছে না, তা স্পষ্ট। কারণ হাওয়া অফিস নিশ্চিত করেছে, আগামী ২৬ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির সাক্ষী থাকতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। প্রথম দুই দিন হালকা বৃষ্টি হলেও ২৮ তারিখ ঝেঁপে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৭ তারিখও মাঝেমাঝেই ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে সাগরের গহ্বর থেকে উঠে আসছে নতুন ঝড়। নাম গুলাব, যা নামকরণ করেছে পাকিস্তান। সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গুলাব নামক সাইক্লোনের সম্ভাব্য গতিপথ ভুবনেশ্বর থেকে ভাইজ্যাগের দিকে। যার জেরে বাংলার উপকূল এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা-সহ বাকি দক্ষিণের জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।
গুলাব বর্তমানে গভীর নিম্নচাপ রূপে রয়েছে। ক্রমশ তা অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ের পরিণত হবে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ঝড়ের গতি হতে পারে সর্বোচ্চ ৮০-৯০ কিলোমিটার।