নিউজ ডেস্ক: পূর্বাভাস মতোই খেল দেখাল আবহাওয়া। মঙ্গলবার বেলা গড়াতেই শুরু হল বৃষ্টি। পরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সঙ্গী হয় ঝড়ো হাওয়া। কলকাতায় কখনও কখনও ৫০ কিলোমিটার বেগেও দমকা বাতাস বয়। সন্ধ্যা পেরোতেই শুরু হয় বিপুল বৃষ্টি, যা রাতভর চলার পর এখনও ফুলদমে চলছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে আজ বুধবার সারাদিন এমনভাবেই চলবে বৃষ্টি। কখনও বাড়তেও পারে বৃষ্টির গতি। বৃষ্টির জেরে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের বেশ খানিকটা নীচে নেমে এসেছে। আজ সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৭২ মিলিমিটার। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমে হয়েছে ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটা কমে ২৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৮ ও সর্বনিম্ন ৮০ শতাংশ।
মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি ছিল। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯৬ ও সর্বনিম্ন ৭২ শতাংশ। সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ৯৮ ও সর্বনিম্ন ৭৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয় ১২.৪ মিলিমিটার। এই পুরো বৃষ্টিই হয় রবিবার দুপুরবেলায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, “পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটু ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয় ২৭ সেপ্টেম্বর। এর জেরে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। সেটি ধীরে ধীরে উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে গিয়ে আজ ২৯ তারিখ এসে পৌঁছে গিয়েছে বাংলার উপকূলে। এর জেরে ঝড়ো হাওয়া এবং প্রচুর বৃষ্টির হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গে।”
২৯ সেপ্টেম্বরেও শহরে বইবে ঝড়ো হাওয়া। ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমানে। বৃষ্টি হতে পারে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার।