নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত ত্রিপুরা সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস। করোনা আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর প্রয়াণ হয়। গৌতমবাবু এমন সময়ে প্রয়াত হলেন যখন ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট নিকটে এসে পড়েছে। বিরোধী দল সিপিআইএম কোমর বেঁধে নামছে ভোট ময়দানে। দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা টানা কুড়ি বছরের মুখ্যমন্ত্রী থাকা মানিক সরকার।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় গৌতম দাসের প্রয়াত হতেই আগরতলার রাজনৈতিক মহলে শোক ছড়ায়। তাৎপর্যপূর্ণ, তিনি যে বছর সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক হন সেই ২০১৮ সালেই ত্রিপুরায় পতন হয় টানা ২৫ বছরের বাম শাসনের। ক্ষমতায় আসে বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার। সিপিআইএম হয়ে যায় বিরোধী দল।
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক থাকাকালীন বারবার সরকারের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ আক্রমণ করেছেন গৌতমবাবু। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের পরেই তাঁর মুখ আগরতলার সংবাদ মাধ্যমে বাম নেতাদের মধ্যে বেশি ভেসে উঠত। সোমবার তিনি প্রয়াত হওয়ার পর রাজ্য সম্পাদক পদে কে বসছেন ? এই প্রশ্ন যেমন বাম মহলে, তেমনই সরকারপক্ষ বিজেপিতেও। কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেও ঘুরছে একই প্রশ্ন।
গুঞ্জন, বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে রাজ্য সম্পাদকের সাময়িক দায়িত্ব দিতে পারে সিপিআইএম। তিনি এক সময় এই দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে আরও দুটি মুখ বেছে রাখা হচ্ছে। প্রথমেই রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ ও দাপুটে নেতা জীতেন্দ্র চৌধুরী ও দ্বিতীয় পছন্দ হিসেবে প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরী। এর পরে নাম ভেসে আসছে প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকার পবিত্র করের।
মানিক বাদল জীতেন্দ্র ত্রিপুরা সিপিআইএমের তিন জবরদস্ত মুখ। বলা হয়,বঙ্গ বাম যেমন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের পর দ্বিতীয় কোনও মুখ তৈরি না করার খেসারত দিয়ে ভোট ময়দানে শূন্য হয়েছে, সেই ভুল করেনি ত্রিপুরার সিপিআইএম। তাদের তিন নেতা সবসময় সামনের সরিতে।
মানিক সরকারের পরিচিতি দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও। জীতেন্দ্র চৌধুরীর রাষ্ট্র জনপ্রিয়তা উপজাতি মহলে। সেখানে তিনি নতুন করে সংগঠন চাঙ্গা করছেন। আর প্রাক্তন পূর্ত মন্ত্রী বাদল চৌধুরী দাপুটে নেতা হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে জেলে পাঠিয়েছিল সরকার। তবে আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারের মুখ পুড়েছে। বাদলবাবু জনপ্রিয়। এর পরেই থাকছেন পবিত্র কর। বিধানসভা পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইবে দল।