নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে নাজেহাল গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে করোনার ‘সুপার ভ্যারিয়্যান্ট’ কোভিড-২২! ২০২২ সালে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়্যান্ট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এক বিশেষজ্ঞ। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা ও বিশ্বের অনেক দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন শনাক্ত করা গিয়েছে। এটি আরও বেশি সংক্রমণযোগ্য এবং ভ্যাকসিন থেকে পাওয়া সুরক্ষাও এড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনাভাইরাসের আরো নতুন স্ট্রেন ভবিষ্যতে আসতে পারে, সেই বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। তার উপর করোনার নতুন এই স্ট্রেনের বিষয়টি সামনে আসায় চাঞ্চল্য বেড়েছে।
আরও পড়ুন করোনায় বিশ্বে শিশুমৃত্যুর এক তৃতীয়াংশ ভারতেরঃ বিশ্ব ব্যাংক
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজেসের (এনআইসিডি) বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এই বছরের মে মাসে দেশে প্রথম সি.১.২ ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে। এই ধরনের কোনো স্ট্রেনের ক্ষেত্রে টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলোকে আগে থেকে নতুন ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। যা এই ভ্যারিয়্যান্টটিকে সমূলে উচ্ছেদ করবে। নয়তো এই নতুন ভ্যারিয়্যান্ট বিপদের বড় কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এই ভ্যারিয়েন্টের অন্যান্য স্ট্রেনের থেকে আরও বেশি মিউটেশন হয়েছে।
আরও পড়ুন ভারতে ছাড়পত্র পেল ডিএনএ-ভিত্তিক ভ্যাক্সিন জাইকোভ-ডি
এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, “এটি আরও সংক্রমণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু স্পাইক প্রোটিনে অনেকগুলি মিউটেশন রয়েছে, তাই এটি ভ্যাকসিনের ফলে তৈরি হওয়া প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে রক্ষা পেতে পারে।” প্রসঙ্গত, দেশে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু কমলেও বেড়েছে সক্রিয় কেসের সংখ্যা। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৫০ জনের। আর করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৩৬ হাজার ২৭৫ জন। তবে অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। তা নিয়ে নতুন করে চিন্তিত স্বাস্থ্যমহল।